বিক্রম দাস: ‘কেউ তৃণমূলের ক্ষতি করতে পারবে না।’ দেবীবর ঊচীর নিয় পর্থ চট্টোপাধ্যায়ে এদিন আলিপুর আদালতে হাজির করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আদালতে হাজির করার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ডিসেম্বরে হুমকি দিয়েছিল বিজেপি। ৩রা ডিসেম্বর বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া তারিখ প্রসঙ্গে। তিনি দাবি করেছেন যে কোন তারিখে বিস্ফোরণ ঘটবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, আজকের 12ই ডিসেম্বর কী ঘটতে পারে? খোঁজখবর নেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. তার উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেউ গাছের গোড়ার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, আজ ডিসেম্বরে বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরণের প্রথম দিন। 12, 14 এবং 21শে ডিসেম্বর বিস্ফোরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন খোদ বিরোধী দলীয় নেতা। কানাঘুষার পর কি বিরোধী দলের নেতা বোমা ফাটাবেন? এখানে একটি রাজনৈতিক ফ্যান্টাসি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গেল, “১২, ১৪, ২১ এই তিন দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপেক্ষা করুন এবং দেখুন।” উল্লেখ্য, এদিন মমতা-অভিষেকর খাস্তালু বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হাজারার জনসভার মঞ্চে দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। তাই হাজরার বৈঠকে সবার বাড়তি নজর। সোমবার হাইভোল্টেজ শিবিরের দুই নেতার বক্তব্যের অপেক্ষায় রয়েছেন দলীয় কর্মীরা। হাজরা থেকে আজ সরাসরি দিল্লি যেতে পারেন বলেও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। কারণ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার খবর রয়েছে।
এর আগে ডায়মন্ড হারবার মিটিংয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘2009 সালে লোকসভা বদলে গেল। 2011 সালে বিধানসভায় একটি পরিবর্তন হয়েছিল। 2014 ও 2016 পর্যন্ত এখানে ভোট হয়েছে। 2016 সালের পর ভাইপো বাহিনী এখানে ভোট দিতে দেয়নি। কেউ কি এখানে 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে সক্ষম হয়েছে? আমরা কি এখন খেলা দেখব? আপনি কি গ্রামে প্রার্থী ঠিক করতে পারবেন? মনোনয়ন পাওয়ার দায়িত্ব আমার। আজ সব লাঙ্গল নিয়ে এখানে গেলাম। এরপর ধান বোনা হবে, নিড়ানি হবে। দেখবেন কি করতে হবে। ডিসেম্বর মাসে আসবো বিজয় সমাবেশে আসবো। মিষ্টিতে ভরা একটি ‘হাতি-গাড়ি’ নিয়ে আসুন। কারণ এখন বলা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সোমবার 3 দিনের সফরে মেঘালয়ে যাচ্ছেন মমতা, সঙ্গী অভিষেক