কৌশাম্বী24 মিনিট আগে
- লিংক কপি করুন
কৌশাম্বিতে স্ত্রীর ভাইদের হাতে চড়াও হলেন যুবক।
সোমবার সকালে কৌশাম্বীর কধাম থানা এলাকার দারা নগর পাওয়ার হাউসের গেটে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে দেখতে পান কর্মীরা। বৈদ্যুতিক কর্মীদের খবরে পুলিশ ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে। জ্ঞান ফেরার পর ওই যুবক তার স্ত্রীর ভাইদের হত্যাকাণ্ডের পিছনে নাম দিয়েছে। যুবকের বয়ানের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কধাধামের সৌরাই বুজুর্গ গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় প্যাটেল কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিয়ের পর তার একটি মেয়ে হয়। মেয়ে তার মায়ের সাথে হাব্বু নগর সিপাহ এলাকায় থাকে। এ সময় তার সঙ্গে তার স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এ কারণে সঞ্জয়ের স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে তার মামার বাড়িতে থাকে।

কৌশাম্বিতে স্ত্রীর ভাইদের হাতে চড়াও হলেন যুবক।
রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে
রবিবার সন্ধ্যায় সঞ্জয় তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে হাব্বু নগর সিপাহে গিয়েছিলেন। বলা হচ্ছে, সন্ধ্যায় তিনি তার মেয়ের সাথে দেখা করে ফিরে আসার সময় তার শ্যালক সমরজিৎ তার দুই অজ্ঞাত সঙ্গীসহ তাকে হত্যা করে তাকে আহত করে। হামলায় অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মৃত ভেবে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। আহত সঞ্জয় প্যাটেল ভোর ৩টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দারানগর পাওয়ার হাউসের গেটে পৌঁছান।

কৌশাম্বিতে স্ত্রীর ভাইদের হাতে চড়াও হলেন যুবক।
জ্ঞান ফেরার পর বিষয়টি জানান ওই যুবক
সেখানে, সাহায্যের জন্য অনুরোধ করার সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে দেখেই পুলিশে খবর দেন বৈদ্যুতিক কর্মীরা। কাড়া ধাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসার পর জ্ঞান ফেরার পর ওই যুবক তার পরিচয় ও হামলাকারীদের নাম পুলিশকে জানায়। যুবকের বয়ানের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাড়া ধামের এসএইচও অভিলাষ তিওয়ারি জানিয়েছেন, যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ সামনে এসেছে। এতে স্ত্রীর ভাইদের বিরুদ্ধে ঘাতক হামলার অভিযোগ তুলেছেন ওই যুবক। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাহরীর প্রাপ্তির পর মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।