কী বলছে সিবিআই
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের টয়লেটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে লালনের দেহ। ফলে চরম অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো। সিবিআই সূত্রে এই ঘটনা জানা গেলেও ঘটনার সময় তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। দুজনেই আদালতে যান। আর সেই সময় সেখানে ছিলেন সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল। আর সেই সময়েই বাথরুমে যাওয়ার ঘটনা লালনের কাছে, এই ঘটনা জানা গেছে সিবিআই সূত্রে।
তবে এই ঘটনায় শীঘ্রই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। এমনকি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অর্থাৎ NHRC-কেও জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

কী বলছে জেলা প্রশাসন
এ ঘটনা পড়ে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসনও। ঘটনার পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অশান্তি হলে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের এসডিপির দাবি, সিবিআইয়ের ডিআইজি নিজেই ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। আর তখনই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুরো বিষয়টি পড়ার পর ড. তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই এ বিষয়ে সমস্ত তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বীরভূমের এসডিপিও।

লালনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে
যদিও লালন শেখের পরিবারের দাবি, লালন শেখকে খুন করেছে সিবিআই। ঘটনার পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে আসেন লালনের স্ত্রী ও অন্যান্য সদস্যরা। সেখানে সিবিআই-এর শাস্তি দাবি করতে প্রস্তুত হন। অভিযোগ করে বলেন, লালনকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। এমনকি পরিবারের দাবি, মারধরের কারণে সে সোনার মতো দাঁড়াতে পারেনি। এমনকি পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি, বউয়ের যত্ন নিতে হবে বলে।
এ ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। জানা গেছে, ঘটনার পর লালন শেখের পরিবার সড়ক অবরোধ করে। শোকের ছায়ায়।