Wednesday, March 29, 2023
Homeদেশগুজরাটে জিম্মি সাংসদের ছেলে-মেয়েদের যন্ত্রণা: ১২-১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ছুটি ছাড়া কাজ...

গুজরাটে জিম্মি সাংসদের ছেলে-মেয়েদের যন্ত্রণা: ১২-১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ছুটি ছাড়া কাজ করানো, টাকা চেয়ে মারধর করা হত


ধর্মেন্দ্র দেওয়ান (সুখতাওয়া)3 দিন আগে

রাজকোট থেকে ফিরে এসে যুবক-যুবতীরা তাদের পরিবারকে কৃষিকাজে সাহায্য করছে।

‘আমাদের 12 ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাজ করানো হয়েছিল। পরিশ্রমের পর ছুটি চাইলে গালি শুনতে হয়েছে। তার শরীর খারাপ থাকলেও তাকে কাজে পাঠাতেন। শুধু তাই নয়, সময়মতো বেতনও দেওয়া হয় না। মজুরি চাওয়ায় মারধর করা হতো। কিছু মেয়েকে অন্যদের সাথে আলাদাভাবে ঘুমাতে বলা হয়েছিল। আমরা দুই মেয়েকে ঘরে বন্দি করে পাহারা দিতাম। আমাদের হায়দ্রাবাদে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। আগে সুযোগ পেলেই সেখান থেকে পালিয়ে যেতাম।

গুজরাটের রাজকোট থেকে পালিয়ে নর্মদাপুরমে ফিরে আসা ৫ জন আদিবাসী মেয়ের এই বেদনা। তার সাথে ৩ জন ছেলেও একই রকম হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে আসে। রাজকোট আমরেলিতে আদিবাসী ছেলে-মেয়েদের উপর চরম নির্যাতন করা হয়। আখন্দের কথায় কোটমি রায়তের সীমা জানুন…

দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে বন্ধন শ্রমিক বানিয়েছেন

পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমরা কাজ খুঁজছিলাম যাতে আমরা কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারি। পরিবারের অবস্থার উন্নতি করতে পারে। গ্রামের বাসিন্দা ভগবতী বারস্কর বলেন, ভোপালে পিৎজা প্যাকিংয়ের কাজ আছে। আপনি দৈনিক 300 টাকা পাবেন। এখান থেকে 7 ঘন্টার পথ। আমিও সাথে যাব। ৬ নভেম্বর ওই মহিলা আমাদের সঙ্গে নিয়ে যান ইটারসি পর্যন্ত। যেখানে আগে ছেলে মেয়ে ছিল। ভদ্রমহিলা আমাদের ইউপির বাসিন্দা অজয় ​​পালের কাছে হস্তান্তর করেন এবং নিজে ফিরে যান।

অজয় পাল আমাদের ইটারসি থেকে রাজকোট ট্রেনে বসিয়ে দিল। আমরা 13 জন ছেলে-মেয়েকে আমরেলি নিয়ে যাওয়া হল। সবাইকে নিয়ে গেল একটা 2 তলা বাড়িতে। ওই বাড়িতে প্রায় ২৫-৩০ জন লোক থাকতেন। আমাদের 13 জনকে দুটি রুম দেওয়া হয়েছিল। ৮ নভেম্বর থেকে তাকে শীতল কোম্পানিতে মাসে ৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়া হয়। এখানে আমরা সবাই আইসক্রিম আর বিস্কুট গোছানোর কাজ শুরু করলাম। রুম থেকে কোম্পানি অনেক দূরে ছিল। 12-12 ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাজ করাতে ব্যবহৃত হয়। 8-10 দিন পর, একসাথে বসবাসকারী কিছু ছেলে মেয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়, তাই তারা কাজে যায়নি। এরপর অজয় ​​পাল কাজে যাওয়ার জন্য মারামারি শুরু করেন। তিনি এখানে কাজ করতে বা বিশ্রাম নিতে এসেছেন কিনা তা নিয়ে কটূক্তি করতেন।

আমাদের সাথে একটা মেয়েকে আলাদা করে ঘুমাতে বলতো। বেতনের দাবিতে গালিগালাজ শুরু করে। সবে দিয়েছেন মাত্র 200-300 টাকা। আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। গৃহস্থ ছিল আমরা কাউকে কিছু বলতেও পারিনি। ভয় ছিল যে অজয় ​​জানতে পারলে পালকে মারবে, তাই সে চুপচাপ কাজ করত। তারপর রুমে ফিরে আসুন। অসুস্থ হলে ওষুধ না দিয়ে মারধর করা হয়। এদিকে একদিন কোম্পানির ক্যান্টিনে কর্মরত এক ব্যক্তি সাহায্যের আশ্বাস দেন। আমাদের স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু পুলিশ সদস্যরা বলে, আপনারা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। আমরা সাহায্য করতে পারি না।’

(দৈনিক ভাস্করকে সীমা আখন্ডে বলেছেন)

রাজকোট থেকে ফিরে আখন্দে পরিবারের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন সীমা। রাজকোটে মজুরির নামে তাকে নির্যাতন করা হয়। অনেক কাজ হয়েছে, টাকাও দেয়নি।

বাসায় ফিরতে বলে তারপর রুমে তালাবদ্ধ
সীমা আখান্দে জানান, অনেকবার আমরা অজয় ​​পালকে বাড়ি যেতে বলেছি। প্রথমে তিনি রাজি হননি, কিন্তু বারবার পীড়াপীড়িতে তিনি বলেন যে তিনি ছেলেদের বাড়িতে পাঠাবেন এবং মেয়েদের হায়দরাবাদে পাঠাবেন। ২৮ নভেম্বর, অজয় ​​পাল আমাকে এবং মনীষাকে রুমে তালাবদ্ধ করে। 2 ছেলেকে পাহারায় রাখা হয়েছিল। অজয় পালের কাকা সহকর্মী রিতেশকে রোলিং পিন দিয়ে মারধর করেন। সুরেন্দ্র ভাইয়া আমাকে আর মনীষাকে রুম থেকে বের করে দিল। তারপর কাপড় গুছাতে বলল।

এখান থেকে দ্রুত হেঁটে যেতে হবে, তখনই পাহারায় থাকা ছেলেরা মূল দরজা বন্ধ করে দিল। কোনোরকমে দরজা খুলে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। যেদিন সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়, সেদিন সে এক অপরিচিত বাড়িতে রাত কাটায়। এরপর ২৯শে নভেম্বর বাসে করে রাজকোটে আসেন। আমরা নর্মদাপুরমের বনবাসী কৃষি ও গ্রামীণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সত্যম ধুরভেকে জানিয়েছি।

কিছুক্ষণ পরে, ভারতীয় মজদুর সংঘের আধিকারিক শিবরাজ সোলাঙ্কি সাহায্য করতে রাজকোট স্টেশনে পৌঁছান। তিনি ১০ হাজার টাকা ও খাবারের প্যাকেট দিয়ে ট্রেনে ইটারসির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ১ ডিসেম্বর আমরা আমাদের গ্রাম ইটারসিতে পৌঁছতে পেরেছি।

রাজকোট থেকে ফিরে আখন্দে পরিবারের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন সীমা।

রাজকোট থেকে ফিরে আখন্দে পরিবারের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন সীমা।

অজানার ওপর ভরসা রেখেছিল, যা ভেঙে গেছে
দেশে ফিরে সে এখন বাবা-মাকে কৃষিকাজে সাহায্য করছে। সীমা আখান্দে জানান, বেশি টাকা রোজগারের আশায় বাড়ি-গ্রাম ছেড়ে এক অচেনা ব্যক্তির ওপর ভরসা করেছিলেন, তা ভেঙে গেছে। ভোপালের কথা বলে আমাদের গুজরাটগামী ট্রেনে বসানো হয়েছিল। সে সময় আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল। সেখানে পৌঁছে তাকে একটি বাড়িতে আটকে রেখে একটি আইসক্রিম কারখানায় কাজ করানো হয়। আমাদের সঙ্গে বন্ধন শ্রমিকের মতো আচরণ করা হয়েছে।

রাজকোট থেকে ফিরে পরিবারের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন সুনীল দর্শিমা।

রাজকোট থেকে ফিরে পরিবারের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন সুনীল দর্শিমা।

সীমার মতো অন্য মেয়েরাও জিম্মি ছিল
নর্মদাপুরম জেলার নয়া পোদারের শীতল ধুরভে, মনীষা সেলুকার, খাতামার রীতেশ উইকে, সুরেশ কালমে, কোটমি রায়তের বেবি আখান্দে, সীমা আখান্দে, দুদাভানির সুনীল দর্শিমা, সলিমেটের সরস্বতী পার্টে, কোটমি রায়তের মহিলা ভগবতী উপি বাই এবং কে বাই। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেন পাল। তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। প্রথমে আশ্বস্ত করলেন ভোপালে পিৎজা প্যাকিংয়ের কাজ করতে হবে। ৬ নভেম্বর ছেলে মেয়েরা জড়ো হয় ইটারসিতে। সেখান থেকে ভোপালের পরিবর্তে রাজকোটে ট্রেনে করে আমরেলি জেলায় নিয়ে যান।

১ ডিসেম্বর সরস্বতী পার্টে, শীতল ধুরভে, বেবি আখান্দে, সীমা আখান্দে, সুনীল বারস্কর, মনীষা সেলুকার, রিতেশ উইকে, সুরেশ কালমেকে রাজকোট থেকে ইটারসিতে নিয়ে আসা হয়।  এসব শ্রমিককে জিম্মি করা হয়।  এরা সবাই নর্মদাপুরম জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

১ ডিসেম্বর সরস্বতী পার্টে, শীতল ধুরভে, বেবি আখান্দে, সীমা আখান্দে, সুনীল বারস্কর, মনীষা সেলুকার, রিতেশ উইকে, সুরেশ কালমেকে রাজকোট থেকে ইটারসিতে নিয়ে আসা হয়। এসব শ্রমিককে জিম্মি করা হয়। এরা সবাই নর্মদাপুরম জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

জিম্মি তথ্য পেয়েছে
কেসলা ব্লকের বিজেপি নেতা দীনেশ মেহতা বলেছেন, জেলা সদস্য সুনীল নাগলে ফোন পেয়েছেন যে আমাদের গ্রাম সহ জেলার শ্রমিকরা গুজরাটের একটি কোম্পানিতে কাজ করতে গেছে, তারা বিরক্ত। তাদের জিম্মি করা হয়েছে। তারপর বনবাসী কৃষি ও গ্রামীণ শ্রমিক ইউনিয়ন নর্মদাপুরমের সাধারণ সম্পাদক সত্যম ধুরভে, শ্রমিক ইউনিয়নের নর্মদাপুরম বিভাগের ইনচার্জ জিতেন্দ্র উইকে, রাজকোট জেলা মন্ত্রী শিবরাজ সোলাঙ্কি ভারতীয় মজদুর সংঘের সভাপতির মাধ্যমে রেলস্টেশনে পৌঁছে শ্রমিকদের সাহায্য করেন। রাজকোটে শ্রমিকদের খাবার ও রাতের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৩০শে নভেম্বর ইটারসির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

নর্মদাপুরম পুলিশের সাহায্য প্রত্যাশা করুন, কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
রাজকোট থেকে ফিরে আসা শ্রমিক ছেলে-মেয়েরা কেসলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তারা আশা করছে নর্মদাপুরম পুলিশ মহিলা এবং ঠিকাদার অজয় ​​পালের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং লাঞ্ছিত ও হয়রানির জন্য ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগের পর এক সপ্তাহ হয়ে গেল। বয়ান নেওয়ার পর বিষয়টি হিমাগারে রেখেছে কেসলা থানার পুলিশ। কেসলা থানার ইনচার্জ গৌরব বুন্দেলা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল করা হয়েছে। কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মজুরির লেনদেন হয়। শ্রম বিভাগ তার বেতন পাওয়ার চেষ্টা করবে।

তহসিলদার এফআইআর লিখেছেন, মজুরি পাবেন শ্রমিকরা
এসডিএম মদন সিং রঘুবংশী জানিয়েছেন, শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার পর বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। ইউপির অজয় ​​পাল, কোটমি রায়তের মহিলা এবং আমরেলি রাজকোটের শীতল কোম্পানি আদিবাসী শিশুদের সাথে প্রতারণা করে এবং অশালীন আচরণ করেছিল। কোম্পানির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়নি। অজয় পাল অন্যায় কাজ করার জন্য মারধর ও হয়রানি করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি ও কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি স্টেশন ইনচার্জ কেসলা এবং এসডিওপি ইটারসিকে পাঠানো হয়েছে।

এটিও পড়ুন…

আমাদের জঙ্গলে আটকে রেখেছিল…পানিও দেয়নি: ঠিকাদারের খপ্পর থেকে ৭৫ জন শ্রমিক ফিরেছে

মহারাষ্ট্রে মধ্যপ্রদেশের শ্রমিকদের জিম্মি করে কাজ করার ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনে। শ্রমিকরা বলছেন, মজুরি না দিয়ে তাদের কাজ করানো হয়েছে। তাকে বনে রাখা হয়েছিল।

মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে ১৬ দিন ধরে জিম্মি থাকা ৭৫ জন শ্রমিক মধ্যপ্রদেশে ফিরে এসেছে। শনিবার সবাইকে ট্রেনে তুলে নিয়ে যায় জবলপুর পুলিশ। আখ কাটার জন্য শ্রমিকদের মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঠিকাদার সেখানে তাদের জিম্মি করে কোনো টাকা না দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়। দৈনিক ভাস্কর এই শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছে। সম্পূর্ণ খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

মহারাষ্ট্রের জব্বলপুরের শ্রমিকদের জিম্মি

মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে গত 16 দিন ধরে জিম্মি করা শ্রমিকরা অবশেষে জবলপুরে ফিরে এসেছে। জবলপুর পুলিশ দল নিরাপদে মহারাষ্ট্রের একটি অজানা জায়গায় আটকে পড়া শ্রমিকদের ট্রেনে করে জবলপুরে ফিরিয়ে এনেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক অজয় ​​বিষ্ণোইও কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে স্টেশনে পৌঁছেছেন। বলা হচ্ছে যে এই শ্রমিকদের কাজ করার জন্য মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে তাদের মজুরি দেওয়া হয়নি, শুধু তাই নয় তাদের 16 দিনের জন্য জিম্মিও রাখা হয়েছিল। সম্পূর্ণ খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

বাবার দেওয়া ঋণ ফেরত পেতে ছেলেকে আটকে রাখা হয় বন্ধন শ্রমিক হিসেবে।

13 বছর বয়সী একটি ছেলে 17 মাস ধরে তার বাবার ঋণ পরিশোধের জন্য একটি বন্ডেড মজুর ছিল। মহিলা সেল টিম এই ছেলেটিকে স্বাধীনতা দিয়েছে, যে প্রতিদিন 15 ঘন্টা কাজ করত। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবার নেওয়া ৩০ হাজার টাকা ঋণ শোধ করতে আড়াই হাজার টাকা রেখেছিলেন শিশুটি। মুক্তিপ্রাপ্ত ছেলেটি জানায়, দুই বছর আগে তার দাদি মারা যাওয়ার পর তার বাবা তার তেরো ভাগের জন্য ঋণ নিয়েছিলেন, যার বিনিময়ে সে এখানে বসবাস করে শ্রমিকের কাজ করে। সম্পূর্ণ খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

আরো খবর আছে…



Source link

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments

https://kukrosti.com/pfe/current/tag.min.js?z=5682637 //ophoacit.com/1?z=5682639