জি 24 আওয়ার ডিজিটাল ব্যুরো: পরিবারের সদস্যরা তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিবিআই হেফাজতে কীভাবে মারা গেলেন লালন শেখ? মেঘালয় সফরের মাঝপথেই এবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন সরব। বলেন, ‘হেফাজতের ভিতরে কী হয়েছে সিবিআইকে বিস্তারিত জানাতে হবে। লালন শেখের স্ত্রী এফআইআর দায়ের করেছেন। আমরাও বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। বুধবার কলকাতায় আসছেন সিবিআই-এর সহ-কর্মকর্তা অজয় ভাটনগর। সঙ্গে আরও ২ শীর্ষ কর্মকর্তা।
ঘটনাটা ঠিক কী? বগুড়ায় প্রধান আসামি লালন শেখ। তিনি ৪ঠা ডিসেম্বর ধরা পড়েন। লালনকে রামপুরহাটিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। গতকাল সোমবার সিবিআই ক্যাম্পের ওয়াশরুমে একটি ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়, তাও নগ্ন অবস্থায়! পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘সিবিআই আধিকারিকদের শেষ দেখা দেখতে বলেছেন, আর দেখতে পাবেন না! লালনের শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না। তাকে ঠিকমতো পানি ও খাবারও দেওয়া হচ্ছে না।
এদিন রামপুরহাট হাসপাতালে মৃত্যু হয় লালন শেখের। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা এখনো লাশ নেয়নি। রামপুরহাটি সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে সকাল থেকে বিক্ষোভ চলে। লালনন পরিবারের লোকেরা ‘সিবিআইসি গো-ব্যাক’ স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: Kolkata Medical College: মেডিক্যাল কলেজে জেওটি অব্যাহত, ঘোষণা ও অনিশ্চিত মঙ্গলবারের বৈঠক
এদিকে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাইকোর্টে মামলা হয়। বর্তমান বিচারকের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আবেদন করেন আইনজীবী বদরুল কারিম। আগামীকাল বুধবার মামলার শুনানি হতে পারে।
এর আগে ২১শে মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বাগতুই গ্রামে খুন হন তৃণমূলের প্রাক্তন উপ-প্রধান ভাদু শেখ। এরপর রাতে গ্রামের অনেক বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারায় ৭ জন। ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। ঘটনার পর থেকে পলাতক। শেষ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রাম থেকে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।