
আজ বিকেলে দমদমের নাগেরবাজার মোড়ের কাছে এক মাঝবয়সী ভদ্রমহিলা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন। সাহস করে কোনো পথচারী সে সময় তার কাছে ঘেঁষতে অনীহা প্রকাশ করেন। এমনকী কেউ ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়ার কোনো স্পৃহাও দেখান না।
আরো পড়ুনঃ মানুষ হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না প্রমাণ করেছেন আলপনা মন্ডল।
এমনিতেই প্রত্যেকের মধ্যে কোভিড-জনিত একটা ত্রাস কাজ করে চলেছে বিগত কয়েক মাস ধরেই। আর রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানষিকতা ক্রমশই তলানীতে ঠেকেছে আমাদের সমাজে আর তাই কেউ একবার ভেবেও দেখল না কাল যদি আমার / আপনার কোনো প্রিয়জন এভাবে ….
আরো পড়ুনঃ বাঙালি জাতীয়তাবাদ শুধু আবেগ নয়, বাঁচার লড়াই
কিছুটা দূরে ডাঃ রাজেশ রায় তখন চেম্বারে রোগী দেখছেন। তাঁর কাছে খবর যাওয়া মাত্রেই তিনি সমস্ত কিছু ছেড়ে মাঝ রাস্তায় ছুটে আসেন। প্রাথমিক পরিচর্যার পর ভদ্রমহিলা কিছুটা সুস্থ হন, জ্ঞান ফিরে পান।
আরো পড়ুনঃ আগস্ট ২০২০ তে ৩০ লাখ না এক কোটী? ভারতে সংক্রমণ কত হবে? কোভিড ১৯ এর ভারত যাত্রা!
অতঃপর ডাক্তার বাবু তাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে তবেই কর্তব্যের ইতি টানেন। বেসরকারি হাসপাতালের নৃশংস পাশবিকতার বর্তমান নজীরের পাশে এ-যেন মানবিকতার এক দৈবীস্ফুরণ।
যেন রাজপথের পাঁজরে গরীয়ান মনুষ্যত্বের ধ্বজা বিকারগ্রস্থ চেতনার বিপরীতে মহীয়ান হয়ে উঠল , আমরা চাক্ষুষ করলাম।
প্রেম আছে … সুজয় মজুমদার