অর্ণবংশু নিউজি: ‘ঢাকা বিসার্জন দেব দেব’! 2016 সালে, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিথ গঙ্গোপড়্যায় প্রাথমিক প্যানেল বাতিল করার আদেশ দেন। তিনি মামলাকারীদের কাছে আরও নথি চেয়েছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের ক্ষমতাচ্যুত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার খবর, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি তিনি প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে অবৈধভাবে ৫৮ হাজার পদ পূরণ! তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
আরও পড়ুন: পরেশ রাওয়াল: হাত বদল? মাছ-ভাত ইস্যুতে এবার পরেশ রাওয়ালের খোঁজে কলকাতা পুলিশ!
ইতিমধ্যে, 2014 সালে, TET-এর ভিত্তিতে, 2016 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। প্যানেলের নাম ছিল ৪২ হাজার ৫০০ জন। এমনকি অপ্রশিক্ষিত মানুষও চাকরি পেয়েছে। কিভাবে? অস্বাস্থ্যকর নিয়োগের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ১৩০ জন। তাদের সবাই অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। আইনজীবীদের দাবি, তারা প্রাথমিক নিয়োগপত্র পেয়েছেন, এতজন নাকি তাদের সংখ্যা কম!
এদিন মামলার শুনানি করেন বিচারপতি অভিজিথ গঙ্গোপদ্ধ্যায়ে আজলাসে। মামলাকারীদের অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারক। বলেন, ‘প্যানেলকে যতই স্বচ্ছ করার চেষ্টা করি ততই দুর্নীতি বেরিয়ে আসে। যদি এটি চলতে থাকে, আমি 2016 সালে 42,500 জনের পুরো প্যানেল বাতিল করব। দাকি গাছ বিসার্জন দেবে দেবে। যেদিন আমি সেই নির্দেশ দেব, আমি এই শব্দগুলোর অর্থ ব্যাখ্যা করব। সেই সঙ্গে ‘মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা নেই, চাকরি পাবেন না’?
আর দেরি নেই। ৬ বছর পর ফের রাজ্যে প্রাথমিক পরীক্ষা হতে চলেছে। কখন? 11 ডিসেম্বর। টেটে এখন পরীক্ষার নম্বর রেকর্ড করে। আবেদনকারীর সংখ্যা ৬ লাখ ৯০ হাজার। গতবারের তুলনায় ৩ গুণ! পরীক্ষায় গণ টোকা-টুকি যাতে না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনকে ‘কাড়া’র ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকবে মেটাল ডিটেক্টর। এমনকি প্রয়োজনে অতি সংবেদনশীল কেন্দ্রেও বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট! জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হবে।