24 পরগনা
oi-বহিনী সান্যাল দত্ত

বঙ্গোপসাগরের তলদেশ উঠে গেছে। দক্ষিণ 24 পরগনা থেকে 30 কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.১। কাকদ্বীপ থেকে কম্পনের উৎসের দূরত্ব ছিল 350 কিলোমিটার। এবং বাংলাদেশ উপকূল থেকে 341 কি.মি. তাই ভূতাত্ত্বিকরা অ্যালার্ম ঘড়ি গণনা শুরু করেছিলেন। তারা আশংকা করছে যে তাদের উপর প্রবল সুনামি আসতে পারে।

আবার কম্পন। এবার সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প। তবে সুনামির মতো ভয়াবহ ঘটনা এখনো ঘটেনি। কিন্তু তা হবে না তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন না ভূতত্ত্ববিদরা। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হল এই ভূমিকম্পের উৎস পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে। বঙ্গ সাগরের তলদেশে কাকদ্বীপ থেকে 350 কিমি দূরে।
সুনামি শুধু পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে নয়, বাংলাদেশের উপকূল ও ওড়িশা উপকূলেও হতে পারে। যদিও আপাতত সুনামির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ভূতত্ত্ববিদরা। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ৩৪১ কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে কম্পনের প্রভাব পড়েছে ভারতেও। কম্পন অনুভূত হয়েছে অরুণাচল প্রদেশেও। অরুণাচল প্রদেশে কম্পন অনুভূত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে নেপাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক জায়গায় কম্পন অনুভূত হচ্ছে। নেপালে ভূমিকম্পে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ভারতের অনেক রাজ্যে ভূমিকম্প হয়। মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে গুজরাট, দিল্লি, মেঘালয়েও কম্পন অনুভূত হয়েছে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ায় আবারও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেই ভূমিকম্পে 162 জনের মৃত্যু হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরপর তুরস্কে ভয়াবহ কম্পন হয়।
ভূতাত্ত্বিকরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে সমুদ্র ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে। এর পটভূমি জলবায়ু পরিবর্তন। বাতাসের পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে একের পর এক প্রবল ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। ভূমিকম্পের পেছনের কারণও পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি। ভূতাত্ত্বিকরাও একই ধরনের দাবি করেছেন। এ কারণে ভূমিকম্পের পর ভূমিকম্প হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
বিস্তারিত আসছে…
ইংরেজি সারাংশ
বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প