ভূপতিনগর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার পর থেকে ভূপতিনগর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর এরই মধ্যে সোমবার অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে যান। আর তখনই উত্তেজনা বিশাল। এলাকার অনেক তৃণমূল নেতা তাদের ধরে ফেলেন। শুধু তাই নয়, ওই সমস্ত বিজেপি নেতা-কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগও রয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেলেঙ্কারি তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ।

বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিজেপি নেতা
স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি নেতা জড়িত। সেখানে পরিকল্পনা করে বোমা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর তাদের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক তৃণমূল নেতা ও অন্যদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ টিএমসির। এমনকী ওই এলাকায় ল্যান্ডমাইন রাখা হয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। আজ আবার বিজেপি নেতারা এলাকায় এসে এলাকার মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। আর এটাকে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, ভূপতি নগর এলাকায় অন্য কোনও বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো এলাকা খতিয়ে দেখছে বোমা স্কোয়াড। আর সেই পরীক্ষার সময়ই এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নাম রাফো।

রাজনৈতিক ধারা শুরু
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। আর সেই ভয়েই বিজেপি নেতাদের এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না টিএমসি। জনগণকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। তাঁর দাবি, রাজ্যে বোমা সংস্কৃতি প্রকট। ফলে দেরি না করে অবিলম্বে এ ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করা উচিত। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি বিভ্রান্ত করছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ক্রমাগত আবর্জনা ফেলছে। বলার দরকার ছিল, শনিবার কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। আর আজ সন্ধ্যার আগে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভূপতিনগর।