জি 24 আওয়ার ডিজিটাল ব্যুরো: দেড় দিন অর্থাৎ প্রায় 34 ঘণ্টা পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। চারিদিকে মুক্ত মাথা-সহ একত্রিশ। আন্দোলনকারীরা নির্বাচনের নির্দেশিকা জারি করার জন্য কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে। দুপুর দুইটার মধ্যে দাবি মানা না হলে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হবে। অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের রোগীরা অচলাবস্থায় ভুগছেন। পুলিশ নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার মামলা করেছে। স্বাস্থ্যসেবা যেভাবে ব্যাহত হয়েছে, তা আবার চালু করতে হবে। এই আবেদনের ওপর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের আদালতে মামলা করার অনুমতি চাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন, Primary TET: 2016-R প্রাথমিক শিক্ষকদের প্যানেল বাতিল হতে পারে!
কিন্তু ঘেরাও হওয়ার পরও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা। ২২ তারিখ ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সে জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনের ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে অবরোধ প্রত্যাহার করে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গতকালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি পূরণ করতে, একদল ছাত্র ও জুনিয়র ডাক্তার মেডিক্যাল কলেজের প্রধান, অধ্যাপকসহ মোট 23 জনকে ঘেরাও করে। যার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে উত্তর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়নি। আলোচনা শেষে আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো আশ্বাস না পেয়ে সোমবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। অধ্যক্ষের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়।
২ ডিসেম্বর ভোট ঘোষণার পর কর্তৃপক্ষ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। এর প্রতিবাদে সোমবার বিকেল ৩টায় অধ্যক্ষের বাড়ির সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে নগদ মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। তানা ঘেরোয়ারের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন মেডিকেল কলেজের প্রধান, বিভাগীয় প্রধান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। অবরুদ্ধ নার্সিং সুপারের মুক্তির দাবিতে উল্টো অবস্থানে বসেন নার্সিং স্টাফরা। কিছুক্ষণ পর সেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগীর স্বজনরা। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তেজিত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
আরও পড়ুন, তিন বছরের অবসরের বকেয়া আটকে, বিচারকের নির্দেশে শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা!