মেদিনীপুর
oi-সঞ্জয় ঘোষাল

ত্রিমূলোল পাঞ্চেথ, এখনও গ্রামবাসীরা সেবা পান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার তৃণমূলের সভা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান এবং আঞ্চলিক সভাপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর চব্বিশ ঘণ্টা সময় না দিয়ে তিনজনই নির্দেশ মেনে নেন।

কাঁথির সভাস্থল থেকে অভিষেকের নির্দেশের পরে, 24 ঘন্টা অপেক্ষা না করেও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনে অভিষেকের গুরুত্ব যে বেড়েছে তারই প্রমাণ এই তিনজনের পদত্যাগপত্র। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ঠিকমতো কাজ না করার অভিযোগে মুখ্য-উপপ্রশাসন ও অঞ্চল সভাপতির অপসারণকে দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার সভা শুরুর আগে হঠাৎ থেমে না গিয়ে একটি গ্রামে প্রবেশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে গ্রামে চলে গেল। তিনি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভাবের অনেক অভিযোগ শুনেছেন। সেখান থেকে দলকে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান, উপপ্রধান ও আঞ্চলিক সভাপতিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। পরে সমাবেশ মঞ্চে দাঁড়িয়ে একটি কথা বলেন।
ওই দিন তিনি মারিশদা কাঁথি গ্রামে গিয়ে অন্তত ৮-১০টি বাড়ি ঘুরে দেখেন। গ্রামবাসীর মুখ থেকে সব গল্প শোনার পর তিনি পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও আঞ্চলিক সভাপতির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। লোকজনের কথা শোনার পর তারা বলেছে যে পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধান এবং ওই অঞ্চলের আঞ্চলিক সভাপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর বৈঠকের মঞ্চেও বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর নাম উল্লেখ করে প্রধান, উপ-প্রধান এবং আঞ্চলিক সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে পদত্যাগের বার্তা দেওয়া উচিত।
অভিষেক বলল, আজ গ্রামে গেছি। মারিশদার গ্রামে অনেক এসটি পরিবার বাস করে। তাদের দুর্দশা দেখে অভিষেক বিস্ময় প্রকাশ করেন। তারা বলেন, প্রধান-উপপ্রধানকে বলে লাভ নেই। ঘর নেই, পানীয় জল নেই। কি করুণ অবস্থা দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেল। তারা কোনো অর্থের খোঁজ করছে না। আমি বললাম, যারা হাসতে হাসতে ঘুরে বেড়াতে ভয় পায়, তাদের কাছে গেলেন না কেন? তারা বলেন, কোনো ভালোবাসা পাইনি, কোনো কথা শুনতে চাইনি।
এ কথা বলার পর অভিষেক বলেন, মারিশদা অঞ্চলের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল, অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রও দায়ী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের জন্য কাজ করতে না পারলে রাজনীতি করে লাভ নেই। এরপর জনসংযোগের পরামর্শ দেন।
অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গ্রামে গ্রামে যেতে পারেন, বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তাহলে আমাদের তা করা উচিত নয়। তৃণমূলে কাজ করতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। তাই গতকাল থেকে সবাই ১০টা করে গ্রামে যায়। অন্তত 50 জন নেতা আছেন, তারা 500 গ্রামে যান। মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
ইংরেজি সারাংশ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পূর্ব মেদিনপুরের টিএমসির প্রধান এবং উপ-প্রধান পদত্যাগ করেছেন