পিয়ালী বন্ধু: তার সাথে যা খুশি তাই কর। তার যা ইচ্ছা তাই হোক। কিন্তু তার স্ত্রী ও ছেলের যেন কিছুই না হয়! আদালতে চার্জশিট পেশ করার পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় মানিক ভট্টাচার্যের বক্তব্য শোনা যায়। তিনি বলতে থাকেন, আমাকে মেরে ফেলুন। কিন্তু আমার ছেলে ও বউকে বেঁধে রাখো না।’ কোর্টরুম থেকে বের হওয়ার সময়, প্রাথমিক টেট केलकरी-এ ধরা মানিক ভট্টাচার্যের স্বগতোক্তি শোনা যায়।
প্রসঙ্গত, আজ প্রাথমিক মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেন আদালত। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে ইডি। এছাড়া তাপস মণ্ডলসহ আইডিআই-এর দায়ের করা অভিযোগপত্রে আরও দুটি সংস্থার নাম রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। মোট ৬ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। মোট 107 পৃষ্ঠার চার্জশিট। অভিযোগপত্রে ৫০ জন সাক্ষীর বক্তব্যও উল্লেখ করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর গণহত্যার পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়। ৫৮ দিন পর চার্জশিট পেশ করল ইডি।
তদন্ত সংস্থার অভিযোগ, ৫৮ হাজার অবৈধ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই দুর্নীতির মূল হোতা মানিক ভট্টাচার্য। ইডি সূত্রে খবর, বিবৃতিতে অসঙ্গতি এবং তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের স্পিকার হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করে, তাঁর কাছে সুপারিশ পাঠিয়ে চাকরি পান তিনি। এমনকি সূত্র বলছে, ঘুষের টাকা নেওয়ার পর বাবার কাছে পাঠিয়ে দেন।
এছাড়া আদালতে আরও বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। যে চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছিল। চিঠিটি একটি অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কেউ অভিযোগ করেছেন, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অভিযোগপত্রে মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। চাকরির বিনিময়ে এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মো. অন্যদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে নদিয়ার বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের ছাত্রদের পাস করার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, খুব শিগগিরই বাংলার প্রথম স্টপে পা রাখবে ভারত, কী হবে এই হাইস্পিড ট্রেনের রুট?
অবসরের বকেয়া ৩ বছর আটকে, বিচারকের নির্দেশে শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে!