প্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিজ গঙ্গরপাধ্যায়ের গতকালের মন্তব্যের আলোকে বৃহস্পতিবার জাগোবাংলার সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগোবাংলা তার সম্পাদকীয়তে একটি প্রশ্ন তুলেছে যে কেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বা অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবেন এবং একই কথা বলার সাথে বিচার ব্যবস্থা কী জড়িত। প্রশ্ন উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে অমর্ত্য সেনের করা মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতেই বিচারক এ কথা বলেছেন কিনা। এর ফলে হিংসা-বিদ্বেষের কোনো বিষয় প্রকট হচ্ছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পুরো সম্পাদকীয়তে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে বিচারকদের কর্ম বা মন্তব্য তাদের প্রশ্ন করার পরিবেশ তৈরি করছে।
জাগোবাংলার বৃহস্পতিবারের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘বিচার ব্যবস্থার ধারক ও বাহক, অর্থাৎ বিচারক বা বিচারক সম্মানিত এবং সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। কিন্তু বিচারক নিজেই যদি আদালতের বাইরে প্রকাশ্যে একবার নয়, বারবার মন্তব্য করেন, তাহলে হয়তো পাল্টা প্রশ্ন করার অধিকার জনগণের আছে’।
সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘শুনানির সময় আইনজীবীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, বিশেষ নিউজেন নিয়ম অমর্ত্য সেন লাইব্রেরি अभिजीथ बिनायक्द्योपध्याय को कैमेंट हरे की नहीं? কেন? প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। হঠাৎ তাকে নোবেল বিজয়ী বলবেন কেন? আর বলতে গেলেও তাদের সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার কী সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: লিগ্যাল ডিফেন্স কাউন্সিল: কলকাতা সহ 10টি জেলায় লিগ্যাল এইড ডিফেন্স কাউন্সিলের অফিস খোলা হয়েছে৷
অ্যাডভোকেট বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিচারপতি অভিজিথ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে হাজির হন। বিচারপতি বলেন, ‘অর্মাত্য সেন প্রতীচি ট্রাস্টের ভিত্তিতে কাজ করছেন। আরও আছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এসব স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের বক্তব্য কী? তারা অনেক বিষয়ে কথা বলেন, আমি কি এ বিষয়ে কিছু বলব, জানতে চেয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক 2023: ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক, পরীক্ষার দিন পরিবর্তনের ভাবনা…
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অবশ্য আদালতে এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, অমর্ত্য সেন যা বলেছেন তার পুরো লেখাটি পড়ার পর, তিনি যেভাবে দেখানো হয়েছে তা বলেননি। পুরো লেখাটা পড়লাম। আর প্রতীচি ট্রাস্ট কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
লোকসভা ভোট নিয়ে অমর্ত্য সেনের মন্তব্য রাজনৈতিক ভ্রু তুলেছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে নিশানা করলেন বাংলার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘করোনার সময় কোথায় ছিলেন? ভোট-পরবর্তী সহিংসতায় মৃত্যুর সময় কোথায় ছিলেন বিজেপি কর্মীরা? অর্মাত্য সেন রাজনৈতিক নেতার মতো কথা বলছেন। এই উদ্ধৃতির সাথে অর্থনীতিবিদ বা শিক্ষাবিদদের কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি আরও দাবি করেন, ‘মোদীজির আসন সংখ্যা আরও বাড়বে। 400 টিরও বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদিজি।