
ওয়েব ডেস্কঃ নববর্ষ উপলক্ষে কাছের মানুষদের কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা আমরা বাঙালিরা সকলেই করে থাকি, কিন্তু কোথাও থেকে যেন আমার একটা অপূর্ণতা থেকে গিয়েছিল, যা আজ শেষ বিকেলে পূর্ণতা লাভ করল – দুষ্টু ভট্টাচার্য্য।
আরো পড়ুনঃ সারন্য র বসন্ত উৎসব নজরুল তীর্থে – দেওয়া হলো রবিরশ্মি আবৃতি পুরস্কার
কেউ ট্রেনে ফল বিক্রি করেন। কেউ বা সব্জি বিক্রেতা আবার কেউ চালান রিক্সা। এমন পরিবারের ৬১ টি দুঃস্থ বাচ্চাদের নিয়েই আজ পালিত হলো পয়লা বৈশাখ, শিয়ালদহ ক্যানিং শাখায় সোনারপুর এর পরবর্তী স্টেশন বিদ্যাধরপুর এ।
আরো পরুনঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরি হাসপাতাল ও বাঙালি বৈদ্য সমাজ সম্মানিত করল সমাজের বিভিন্ন কৃতি মহিলাদের
পয়লা বৈশাখের বিকেলে বিদ্যাধরপুরে হরিনাভি দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (Harinavi Dwarkanath Vidyabhusan Welfare Society) -র শিশুদের জন্য একরাশ আনন্দ নিয়ে হাজির হয়ে ছিলেন বাঙালি বৈদ্য সমাজের পক্ষে বিরেশ্বর দাশগুপ্ত, ব্রহ্ম সেনগুপ্ত, তানিয়া সেনগুপ্ত সরকার, বেবী দাশগুপ্ত চক্রবর্তী এবং তার সাথে তাদের আরো বেশকিছু সুধীবৃন্দ।
৬১টি শিশুর হাতে নববর্ষ উপলক্ষে ওনারা তুলে দিলেন একটি করে নববস্ত্র ও কিছু টিফিন – জানান সংস্থার সম্পাদক দুষ্টু ভট্টাচার্য।
সাক্ষাতকারে তিনি আরোও জানান “কদিন আগে ফোনে কথাবার্তার পর বাচ্চাদের নাম বয়সের লিস্ট তৈরি করে পাঠিয়ে দিই , ওনারাও সেই নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী প্রতিটি বাচ্চার জন্য পৃথক জামা কাপড় নিয়ে চলে আসেন। সাথে কিছু টিফিন।
বাচ্চারাও ওনাদের বেশকিছু আবৃত্তি পাঠ করে শোনায় যার পুরো কৃতিত্ব অবশ্যই তাদের প্রিয় আবৃত্তি শিক্ষিকা পিয়ালী ম্যাডামের ।
লক ডডাউনে টানা ১৫০ দিনের উপর এই বাচ্চাগুলোর জন্য খাবারওর ব্যবস্থা করতে করতে উপলব্ধি করেন এদের পড়াশোনার ব্যাপারেও। স্থানীয় ক্লাব সোনারতরী সংঘের কর্মকর্তারা এগিয়ে আসেন এবং বাচ্চাদের অস্থায়ী স্কুল শুরু হয়।
আরো পড়ুনঃ ভোটের দামামা আর কোভিড কে মাত করেই উদ্বোধন গড়িয়াহাট সঙ্গীত মেলা – আহারে বাহারে
চেয়ে চিন্তে আর বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে এই স্কুল। আগামীতে সকল মানুষের কাছে সামান্য হলেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। যাতে মাছ মাংস না হলেও অন্ততঃ ডিম – ভাতের ব্যবস্থা করা যায় এদের জন্য।
আপনারা এগিযে এলে দুধের শিশুকে সোয়াবিন ভাতের বদলে সপ্তাহে অন্ততঃ ২-১ টা দিন একটু ডিমের ঝোল ভাতের ন্যায় রাজসিক খাবার তুলে দেওয়া যায়।