পাহাড়ে পরিবর্তন এসেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্গাহার আধিপত্য ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার আচমকা উত্থান, আমাদের দলের আধিপত্য নষ্ট করে পাহাড়ের রাজনীতিতে একক শাসক হয়েছেন অনীত থাপা।
উত্তরবঙ্গ
oi-সঞ্জয় ঘোষাল

পাহাড়ে পরিবর্তন এসেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্গাহার আধিপত্য ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার আচমকা উত্থান, আমাদের দলের আধিপত্য বিনষ্ট করে পাহাড়ের রাজনীতিতে একক শাসক হয়েছেন অনীত থাপা।
তৃণমূলের সমর্থনে ভারতীয় গোর্খা জনমুক্ত মোর্চা সুপ্রিমো যখন পাহাড় তুলে দেন, তখন দুর্গাপুরে বিজেপির কার্যনির্বাহী বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এক হাত নেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু সিং।

বিজেপি সাংসদ বলেন, দার্জিলিংয়ে কোনও উন্নয়ন করেনি তৃণমূল। বিপরীতে, মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যারা সততার সাথে কাজ করেছেন তাদের বরখাস্ত করেছেন এবং তার পছন্দের লোকদের বসিয়েছেন। ফলে পাহাড়ের দুর্ভোগ, সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাহাড়ের মানুষ।
শুক্রবার বিজেপির দুদিনের রাজ্য কার্যনির্বাহী সভায় যোগ দিয়ে দার্জিলিং-এর বিজেপি সাংসদ রাজু সিং আবার আলাদা উত্তরপ্রদেশ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিন যোশী মেথি ভেঙে দেওয়ার উদাহরণ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। সংসদ সদস্য রাজু সিংহ বিসালতা বলেন, স্বভাবতই দেশে এমন ঘটনা ঘটলে পাহাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হবে।
তার মতে, পাহাড়ে অনেক অবৈধ নির্মাণ চলছে। আজ থেকে নয়, অনেক আগে থেকেই পাহাড়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ। যদি কোনো নেতা বা দল এ ব্যাপারে সততার সঙ্গে কাজ করতে চায়, তাহলে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তাকে বরখাস্ত করা। পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় একটি দল জয়ী হয়েছে। তাদের অপসারণের পিছনে রয়েছে একটি অন্ধকার রহস্য।
বিজেপি সাংসদ বলেন, দার্জিলিং মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ক্ষমতা দখল করে আমাদের দল বেআইনি নির্মাণের তদন্ত করছে। মমতা দিদি সেই দলকে উচ্ছেদ করে নিজের লোক বসিয়েছেন।” এখন সব কিছু তার ইচ্ছানুযায়ী হবে। পাহাড়ে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে আর কোন তদন্ত হবে না।
পরে পাহাড়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজও জনসংখ্যা ও পর্যটকের অনুপাতে দার্জিলিং গড়ে ওঠেনি। ব্রিটিশরা ২০ হাজার মানুষের জন্য দার্জিলিং তৈরি করেছিল। এখন সেখানে দুই লাখ ঘর আছে। পানীয় জল নেই, জমি, হোটেল। পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়ন নেই। এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী।” সাংসদদের দাবি, এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারকেও দার্জিলিংকে সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে দেওয়া হয়নি।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভক্তি প্রসঙ্গে সাংসদ রাজু সিং বিসালতা বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষ ভিক্ষুক নয়। তারা আত্মসম্মান ও আত্মসম্মান বিক্রি করেনি। রাজ্যের ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্বের মধ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা। 20 হাজার কোটি টাকা আসে দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্স থেকে। ছয় লাখ কোটি টাকা এই রাজ্যের ঋণ।” নাগরিক প্রতি ৬০ হাজার টাকা ঋণ। তাই বারবার উত্তরপ্রদেশের মানুষকে অপমান করবেন না।
ইংরেজি সারাংশ
দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের কম উন্নয়নের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ রাজু সিং বিস্ট।
গল্প প্রথম প্রকাশিত: শনিবার, জানুয়ারী 21, 2023, 14:58 [IST]