পুরুলিয়া বাঁকুড়া
oi-কৌসিক সিনহা

রাজ্য হেরিটেজ কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে বিখ্যাত শিল্পী, শিল্পী ও শিল্পী রবীন্দ্র স্নেহধন্য রামকিঙ্কর বেইজের বাসভবনকে ‘হেরিটেজ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। বুধবার, হেরিটেজ কমিশন দ্বারা ‘আবখ্ষ ফলকে’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, শিল্পী শুভপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান চিত্রবিনেত্রী সহায়ন্তিকা বন্দরেয়োপাধ্যায়, বাঁকোদা পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার সহ রামকিঙ্কর বেইজের বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, 1906 সালের 25 মে, রামকিঙ্কর বেইজ বাক্কুডা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈল্পিকতায় মুগ্ধ হয়ে বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিক, ‘মর্দারন রিভিউ’ এবং ‘প্রবাসী’ সম্পাদক রামানানন্দ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে 1925 সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। চার চারুকলার ছাত্র হিসেবে অবদান রাখুন। রবীন্দ্র স্নেহধন্য এই মানুষটি একাডেমিক ফেলো হিসাবে 1976 সালে পদ্মভূষণে ভূষিত হন, 1977 সালে তিনি বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দেশিকত্তম’ এবং 1979 সালে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি লাভ করেন।
শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ প্রসঙ্গে নাতি শিব প্রসাদ বেইজ বলেন, বিশ্বখ্যাত এই শিল্পীর পরিবার অর্ধাহারে ও বিনা চিকিৎসায় চলে। একই সময়ে, ‘ভারত রত্ন’ পাওয়ার অন্যতম দাবিদার রামকিঙ্কর বাইজের তাঁর জন্মভূমি বাঁকোদা জেলায় কোনও শিল্পকর্ম নেই। তাঁর সৃষ্টি কালের বাঁশি কিম্বা সাঁতাল পরিবারের ‘ব্রোঞ্জ কাস্টিং’ এখানে ইনস্টল করা দরকার। এ ছাড়া তিনি রামকিঙ্করের সংগ্রহ তৈরির দাবির কথাও বলছেন।
অন্যদিকে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিল্পী শুভপ্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেন, “বাঁকুড়ের মানুষ চাইলে এই জেলাতেও রামকিঙ্করের বেইজ শিল্পকর্মের একটি ব্রোঞ্জ রেপ্লিকা স্থাপন করা যেতে পারে।” একই সঙ্গে হেরিটেজ কমিশন বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিক রামানানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবং যোগেশ্বর বিদ্যানিধির বাড়িতেও কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ইংরেজি সারাংশ
পশ্চিমবঙ্গ গভর্নমেন্ট হেরিটেজ কমিশন রামকিঙ্কর বাইজের বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে