রায়পুর4 ঘন্টা আগে
ছত্তিশগড়ে কিছু মানুষ আছে যারা শারীরিকভাবে দুর্বল। কিন্তু শারীরিক দুর্বলতাও তার সাহস ও পরিশ্রমের সামনে হার মেনেছে। একজন যুবক দেখতে পায় না, কিন্তু দুর্দান্তভাবে কম্পিউটার চালায়। এবং আরও একটি মেয়ে রয়েছে যার হাতে কোনও নখ নেই, তবে তার পা দিয়ে দুর্দান্তভাবে সেলাই করে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
আসলে, আমরা যাদের কথা বলছি তারা সবাই প্রতিবন্ধী। রায়পুরের মানায় অবস্থিত অস্থি বালগৃহ ক্যাম্পে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এখানে 35 জন দিব্যাং ছেলে-মেয়েকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে তাদের গল্প পড়তে.যা বেশ প্রেরণাদায়ক।
রঞ্জনা সিনহা
রায়পুরের বাসিন্দা দশমতি এখানে লোহার সেলাই শিখছেন। দশমতী মাত্র ৩ বছর বয়সে তার নখর হারান। আগুনের কারণে এই দুর্ঘটনায় তার চামড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দশমতীর পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল। তার বাবা কৃষিকাজ করেন এবং সবজি বিক্রি করেন। এই কারণেই দশমতী এই শিশু শিবিরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
দশমতি জানান, প্রশিক্ষণের পর তিনি মেয়েদের পোশাক তৈরি করতে শিখেছেন। এছাড়াও তিনি শিশুদের জন্য কাপড় সেলাই করেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে আয়োজিত প্রদর্শনীতেও পোশাক রেখেছেন। যা মানুষ অনেক পছন্দ করেছে। দশমতীর স্বপ্ন ভবিষ্যতে ব্যবসা করে বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করা। নীতা সিং তাকে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

দশমতি লোহা
রঞ্জনা মহাসমুন্দের বাসিন্দা
একইভাবে রঞ্জনা সিনহা একজন হেয়ার আর্টিস্ট। রঞ্জনা শুনতে বা কথা বলতে পারে না, কিন্তু তার হাতের শিল্প দিয়ে সে নারীদের চুল খুব সুন্দর করে সাজায়। প্রশিক্ষণ শেষে চুল বিশেষজ্ঞ হয়েছেন রঞ্জনা। রঞ্জনা মহাসমুন্দের তোরলা গ্রামের বাসিন্দা।
সফটওয়্যারের সাহায্যে শুনানির মাধ্যমে কাজ করা
অন্যদিকে, বিলাসপুরের হাতিনি গ্রামের বাসিন্দা রামাউরাম কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। রামু চোখ দিয়ে দেখতে পারে না, দুই চোখেই সে সম্পূর্ণ অন্ধ। প্রকৃতি তাকে দেখার আলো দেয়নি, তাই সে প্রকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। আজ কম্পিউটারের স্ক্রিনে একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে ডাটাশিট তৈরি, কিবোর্ডে টাইপ করার মতো সব কাজই তিনি করে থাকেন ডিফারেন্টলি-অ্যাবেলদের কানে শুনে। একজন সাধারণ মানুষের মতোই কীবোর্ডে আঙুল খুব দ্রুত চলে। রমনের এই বিশেষত্ব দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
4 মাসের কোর্স
চিলড্রেন হোমের তত্ত্বাবধায়ক লক্ষ্মীমালা মেশরাম জানান, এই শিশুদের ৪ মাসের কোর্স রয়েছে। যেখানে তাদের বিউটি পার্লার, সেলাইয়ের কারিগর এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মতো কিছু কোর্স দেওয়া হয়। এরপর এই শিশুরা নিজেদের ব্যবসা শুরু করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিছু ছেলেমেয়েকে যোগ্যতা অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিওতেও চাকরি দেওয়া হয়।