হাজীপুর (বৈশালী)4 ঘন্টা আগে
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সহদেই ওপি এলাকার অন্ধ্রওয়ার চকের কাছে বৈশালীতে, নির্ভীক অপরাধীরা স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে। তার অবস্থা গুরুতর। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় অস্ত্রের জোরে লুটপাট শুরু করে দুর্বৃত্তরা। ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করলে অপরাধী গুলি করে। এবং ২০ লাখ টাকার গয়না লুট করে পালিয়ে যায়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিঠে গুলি করা হয়েছে।
ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশে ছিল মানুষের ভিড়। লোকজন আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এখানে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নামে। আহত রাহুল কুমার (৩৫) পারবানন্দপুর গ্রামের সুরেশ সাহের ছেলে।
মহুয়া থানা এলাকার পারবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ সাহ-এর ৩৫ বছর বয়সী ছেলে রাহুল কুমারকে বলা হয়েছে যে তিনি সকাল ৭টা নাগাদ অন্ধ্রবর চকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। pm ঠিক তখনই পথিমধ্যে অতর্কিত দুই বাইক আরোহী দুর্বৃত্ত ডাকাতির সময় তাকে গুলি করে। তবে গুলির শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এলে সব অপরাধীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ।
এ বিষয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী রাহুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, দুষ্কৃতীরা গুলি করে ২০ লাখ টাকার গয়না লুট করে পালিয়ে যায়। তবে আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রাহুল হাজীপুরের আনোয়ারপুর চকের কাছে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এখানে ঘটনার খবর পেয়ে সহদেই ওপি সভাপতি অভিষেক কুমার ত্রিপাঠী টিম ফোর্স নিয়ে পৌঁছান এবং আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রাহুলকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে হাজিপুর পাঠান এবং পুলিশ অপরাধীদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। এ ব্যাপারে ওপি ইনচার্জ জানান, রাহুল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় বাইকবাহী অপরাধীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।এখানে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।