বীরভূম ঝাড়গ্রাম
oi-সঞ্জয় ঘোষাল

পাঞ্চায়েথ দুয়ার ক্যাডা নাড়চে। এ কারণে জেলায় জেলায় গণসংযোগ শুরু হয়েছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়ক পাঠিয়ে জনসংযোগ শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপকা বেরুভয়ে বরোহণ প্রণাস যোগে, অভিষেকও যাচ্ছেন। একইভাবে বীরভূমে জনসভায় গিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। প্রকাশ্যে বেরোতে গিয়ে প্রতিবাদের মুখে পড়েন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই এখন প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়ছে?

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসভায় জনরোষের মুখে কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিয়েছে তৃণমূলে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণে ধাক্কা লেগে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতা-অভিষেকদের এতদিন বীরত্বের জমি নেওয়ার পর ফিরে তাকাতে হয়েছে। এই জেলার মণ্ডলীগুলোই ছিল শেষ কথা। সমস্ত ভার তার উপর ছেড়ে দিন এবং শিথিল থাকুন। ঠিক যেমন তিনি মেদিনীপুরের ভার ছেড়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ওপর।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর অনুব্রত मंडल জেল-বন্দি ফলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এখন বহু জেলায় মনোনিবেশ করতে হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যপ্রাচ্য মেদিনীপুরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গুরুত্ব দিচ্ছে অনুব্রত মন্ডলের জেলা বীরভূমকে।
সংসদ সদস্য শতাব্দী রায় সেই বীরত্বপূর্ণ ভূমিতে গিয়ে জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েন। এর আগে বীরভূমে সভা করেছেন বিজেপির মিথুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদাররা। তারপর একটি উত্তর সভা করুন মহুয়া मैत्र, देबंशु भट्टाचार्य। এ বার জনসভায় গিয়েছেন শতাব্দী রায়। শতাব্দী রায়কে সামনে দেখে গ্রামবাসীরা জানান, তারা কোনো সরকারি চাকরি পাননি।
বীরভূমের হাটোদা গ্রামে গিয়েছিলেন শতাব্দী। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সাংসদ শতাব্দী রায় ধৈর্য ধরে গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন। জনসাধারণের উদ্দেশে শতাব্দী বললেন, আপনারা কেউ বাড়ি পেয়েছেন? তারা সমস্বরে বলল- না। তারপর শতাব্দী বলেন, বীরভূমিতে অনেকেই বাড়ি পেয়েছেন, যারা যোগ্য, সবাই পাবেন।
গ্রামের লোকজন জানান, তারা বাড়ি খুঁজে পাচ্ছেন না, গ্রামে কোনো রাস্তা নেই। শুনে আশ্বাস দিলেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, বিশ্বাস রাখুন সব পাবেন। কিন্তু যে ক্ষোভের আওয়াজ শোনা গেল, তাতে তৃণমূলের এই জনসংযোগ কর্মসূচি কতটা উপকারী হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, তৃণমূলের নেতারা যাচ্ছেন, মানুষের কথা শুনছেন, তাঁরা কিছু চিকিৎসার কাজ করতে পারবেন। গ্রামবাসী যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারছেন, তৃণমূল নেতারা শুনছেন, তারাও প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
নন্দী গ্রামে ফের ভোট হবে, শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ, কেন একথা বললেন অভিষেক
ইংরেজি সারাংশ
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমের গ্রামে শতাব্দী রায়ের সফরের পর বড় সমস্যায় তৃণমূল।
গল্প প্রথম প্রকাশিত: রবিবার, ডিসেম্বর 4, 2022, 13:00 [IST]