জ্যোতির্বিজ্ঞান কর্মী: সোমবার ৪ দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। G20 বৈঠকে যোগ করুন। পরদিন তিনি আজমেধ ও পুষ্করে তীর্থযাত্রায় যাবেন। বুধবার দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। সোমবার দিল্লি ছেড়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে G20 বৈঠকে যাবেন মমতা। সেই বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ও অন্য কোনও নেতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয় কি না, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন-আবারও কেঁপে উঠল দ্বীপ, উপকেন্দ্র ছিল ১১২ কিলোমিটার গভীরে! একটি সুনামি সতর্কতা আছে?
মঙ্গলবার দিল্লি থেকে রাজস্থানের আজমেধা এবং পুষ্করে ব্যক্তিগত সফরে যাবেন। অশোক গেহলট সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজস্থান সফরের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে। রাজস্থান সফরে আজমেধা শরীফ ও পুষ্কর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের জন্য বিশেষ রুট তৈরি করেছে গেহলট প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর পুরো যাত্রার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজস্থান পুলিশের একটি বিশেষ দল।
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য কলকাতা থেকে পুষ্করে পৌঁছেছেন ৫ জন আধিকারিক। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ব্রহ্মা মন্দির পরিদর্শনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন মন্দিরটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, ৬ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে যাবেন। রাজস্থান প্রশাসনের একাংশ তার নিরাপত্তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাকে বিরল রাজনৈতিক সৌজন্য হিসেবে দেখছেন।
মঙ্গলবার রাজস্থান থেকে দিল্লি ফিরবেন মমতা। সেখানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে টিএমসি সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সুদীপ। কেন সেই বৈঠক? জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের কৌশল কী হবে তা ঠিক করবেন মমতা। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৃণমূল সংসদে কী কী বিষয় উত্থাপন করবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ফ্লোর ম্যানেজমেন্ট নিয়েও কথা হবে। পরশু কলকাতায় ফিরবেন মমতা।
উল্লেখ্য, মমতার শেষ কয়েকটি দিল্লি সফর তার নিজের সফরেই সীমাবদ্ধ ছিল। এভাবেই তিনি বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেননি। ফলে 2024 সালকে মাথায় রেখে এবার দেখা যাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কোনও বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করবেন কিনা।