জামশেদপুর15 মিনিট আগে
- লিংক কপি করুন
আহত অভয় গুপ্ত এমজিএম হাসপাতালে।
সোনারী ডোমুহনী ব্রিজের কাছে মেরিন ড্রাইভে স্কুটি-বাইকের সংঘর্ষে বাগবেদা গধবাসার বাসিন্দা ব্যবসায়ী দীনেশ গুপ্তের বড় ছেলে অভয় গুপ্ত (২৩), মারা গেছেন। এই ঘটনায় অভয়ের সঙ্গে স্কুটিতে বসে থাকা দেওঘরের বাসিন্দা তাঁর বন্ধু গৌরব ঠাকুরের হাড় ভেঙে যায়। সংঘর্ষে উভয় বাইক আরোহী গুরুতর আহত হয়। আহতদের এমজিএম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোনারি থানার পুলিশ ওই চার যুবককে এমজিএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গুরুতর আহত অভয় গুপ্তকে টিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু টিএমএইচে তদন্তের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হেলমেট না পরার কারণে মাথায় গুরুতর চোট পান অভয়। দিল্লি থেকে পাইলটের প্রশিক্ষণ শেষ করে দুদিন আগে শহরে পৌঁছেছিলেন অভয় গুপ্তা। ১ ফেব্রুয়ারি চাকরিতে যোগ দিতে ইউরোপ যাওয়ার কথা ছিল। অভয়ের ছোট ভাইবোনেরা কলকাতায় পড়াশোনা করে।
খবর পেয়ে অভয়ের বাবা দিনেশ গুপ্ত ও পরিবারের অন্য সদস্যরা পৌঁছে যান টিএমএইচে। পুলিশ লাশ হিমাগারে রাখে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হবে। অন্যদিকে, সোনারি পঞ্চবতী নগর সিডো কানহু বস্তির বাসিন্দা শিব কুমার মাহতো এবং বাবলু কর্মকার, যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তারা পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দুটি জব্দ করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, দেওঘরের শহীদ আশ্রমের বাসিন্দা গৌরব ঠাকুরের মঙ্গলবার দুদকের পরীক্ষা রয়েছে। শহর সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় গৌরব বন্ধু অভয় গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। ডোমুহনী ব্রিজের আগে ডোবো থেকে বন্ধুকে বাস থেকে নামিয়ে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন অভয়। মেরিন ড্রাইভে পৌঁছতেই ভুল দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বাইকের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। বাইক আরোহী দুজনই ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।