কাপড় চেপে ধরে টানাটানি শুরু করে অভিযুক্তরা
নিহতের পরিবারের দাবি, মৃত গণেশ মণ্ডলের মেয়ে সাইকেলে করে টিউশনি করে ফেরার সময় ৩ যুবক মারা গেছে বলে তার পথ আটকে দেয়। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগও ওঠে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। এমনকী জামাকাপড়ও টেনে নিয়ে যেতে থাকে অভিযুক্তরা। এ অবস্থায় মেয়েটি ভয়ে চিৎকার করতো। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন মেয়ের বাবা গণেশ মণ্ডল। ঘটনার প্রতিবাদ করায় তিনজন দুষ্কৃতীকে আসামি করা হয়। তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি মাঠে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

একাধিক ধারায় মামলা
ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গেছে, যুবতীর অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত যুবক। গণেশবাবু বারবার ওই ছেলেদের এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন বলে পরিবারের দাবি। কিন্তু কে শোনে কার কথা? এই অবস্থায় প্রতিদিন ওই ব্যক্তি তার মেয়েকে টিউশনে নিয়ে বাড়ি নিয়ে আসত। কিন্তু ঘটনার দিন দেরি হলে ওই ব্যক্তি টিউশনিতে যেতে পারবেন না। মেয়েরা প্রায়ই এগিয়ে আসে। তিনি একাকী ছিলেন। আর সেই উপলক্ষ্যেই এই ঘটনা বলে দাবি করছেন স্থানীয় লোকজন। তবে এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। হত্যা মামলা ছাড়াও পকসো আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

শুরু হয়েছে শক্তিশালী রাজনৈতিক ধারা
তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ধারা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, সমাজবিরোধীদের একটা বড় অংশ এখন শাসক দলের ছায়ায়। সবাই এখন কৃতজ্ঞ। গেয়েছেন উন্নয়নে। এসব মানুষ ভাবছে সরকার তাদের জন্য কিছুই করতে পারবে না। কারণ তারা দল হিসেবে নির্বাচনের সময় মাঠে নেমেছিল। শাসক দলের একাধিক দলও বিজেপি নেতার সমালোচনা করেছে। পুলিশের নিয়ন্ত্রণ তাদের ওপর নেই বলে দাবি তাদের। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ভয়াবহ ঘটনা। যেখানে নিরাপত্তা নেই রাজ্যে শাসন-পুলিশ কিছুই নয়, দাবি বাম নেতার।