- হিন্দি সংবাদ
- স্থানীয়
- গুজরাট
- সুরাটে একটি মিউনিসিপ্যাল স্কুলের শিক্ষককে বিনা নোটিশে বহিষ্কার করার পর শিক্ষার্থীরা ধর্মঘটে
মুখ5 দিন আগে
- লিংক কপি করুন
শিক্ষার্থীরা বলল- আমরা শুধু বিভূতি স্যারকে চাই, না হলে আমরাও স্কুলে আসা বন্ধ করে দেব।
গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক খুবই বিশেষ। গুরু সঠিক পথ দেখালে শিষ্যরা শুধু তার নামই আলোকিত করে না, দেশের গৌরবও বাড়ায়। শুধু তাই নয়, শিষ্যরা তাদের গুরুর জন্য যে কারো সাথে যুদ্ধ করতে পারে। বৃহস্পতিবার একটি স্কুলেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত পান্ডেসরার নাগাসেন নগরে অবস্থিত সুমন স্কুলে একজন শিক্ষককে গুলি করার পরে 9ম এবং 10 ম শ্রেণীর 50 টিরও বেশি ছাত্র স্কুলের বাইরে ধর্নায় বসেছিল। ছাত্ররা বলল- আমরা বিভূতি স্যারকে চাই, না হলে আমরাও স্কুল ছেড়ে দেব।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোনো নোটিশ না দিয়েই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছেন অধ্যক্ষ। অথচ তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
এই ঘটনা
পান্ডেসরার নাগসেন নগরে অবস্থিত সুমন স্কুলটি ওড়িয়া মাধ্যম। বিভূতি নামে এক শিক্ষক গত ৪ বছর ধরে এতে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাদের কোনো নোটিশ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করেছেন। বিভূতি স্যারের নিউমোনিয়া হয়েছিল। এ কারণে তিনি ১০ দিন ছুটিতে ছিলেন। বিষয়টি তিনি অধ্যক্ষকে জানান। শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি জানতেন।
তাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে স্কুল প্রশাসন তাদের চাকরিচ্যুত করেছে। এতে আমাদের পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে। আমাদের একই শিক্ষক দরকার কারণ তিনি ভাল পড়ান। যতদিন বিভূতি স্যার ক্লাসে পড়াতে না আসবে ততদিন আমরা এই স্কুলে পড়ব না। তার জায়গায় যে শিক্ষক রাখা হয়েছে তিনি ভালো পড়ান না।

আরেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
অধিবেশন শেষ হতে ৩ মাস বাকি, এমন অবস্থায় শিক্ষককে অপসারণ করা অন্যায়
হাতে পোস্টার-ব্যানার নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। শিশুরা জানায়, অধিবেশন শেষ হতে আর ৩ মাস বাকি। এমতাবস্থায় যে শিক্ষক সারা বছর আমাদের পড়ান তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার কাছেই আমাদের পড়াশোনা করতে হবে। তাকে ডাকা উচিত। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই বিক্ষোভে বিরক্ত হয়ে স্কুল প্রশাসনকে ডেকে পাঠাতে হয় শিশুদের অভিভাবকদের। অভিভাবকদের সহায়তায় শিশুদের বুঝিয়ে বিক্ষোভ শেষ করা হয়।
নিউমোনিয়ার কারণে ১০ দিন ছুটিতে ছিলেন শিক্ষক : শিক্ষার্থী
শিক্ষকরা কোনো কারণ ছাড়াই ছুটিতে যেতেন। তাকে অনেকবার বুঝিয়ে বলা হলেও সে শোনেনি। এক মাস আগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হলেও শিক্ষার্থীরা এখন সেখানে গিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এজেন্সির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তার জায়গায় আরেকজন শিক্ষককে রাখা হয়েছে।
-ধর্মেশ প্যাটেল, সরকারি কর্মকর্তা, সুমন স্কুল