Saturday, March 25, 2023
Homeরাজ্য জেলাতৃণমূল বিধায়কের পায়ে টিপ দিচ্ছেন নেতা, ভাইরাল ছবি নিয়ে দুই জনের ব্যাখ্যা!...

তৃণমূল বিধায়কের পায়ে টিপ দিচ্ছেন নেতা, ভাইরাল ছবি নিয়ে দুই জনের ব্যাখ্যা! টিকিটের লোভে দাসী, কটাক্ষ বিরোধীদের


সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চুচ্চুদার বিধায়ক অসিত মজুমদার একটি খাটে পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন। একজন মহিলা তার পা টিপছেন। ওই মহিলা আর কেউ নন, একজন তৃণমূল নেত্রী। সেই তৃণমূল নেতা দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান এবং চুচুড়া-মগরা পঞ্চায়েথ পার্টির রুমা রাই পাল-এর বর্তমান সদস্য৷

  কিভাবে ছবি আসে

কিভাবে ছবি আসে

রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করেছে দিদি দূত কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দলের নেতারা দ্বারে দ্বারে গিয়ে মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনবেন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে ধরুন। এর পাশাপাশি তারা স্থানীয় যে কোনো নেতা-কর্মীর বাসায় অবস্থান করবেন।
একইভাবে দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা অনুশীলন কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিধায়ক। দেবানপুরন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা পিয়ূষকানাদি, বিধায়ক এবং অন্যদের বাড়িতে রাত কাটান। ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল।

তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ব্যাখ্যা

তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ব্যাখ্যা

তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল ছবির ব্যাখ্যায় বলেন, বিধায়ক অমিত মজুমদার তাঁর বাবার মতো। তাঁকে গুরু মনে করতেন। শুধু পায়ে ব্যাথা হচ্ছে এই কথা বলে পা টিপলেন। প্রতিপক্ষের কোনো কাজ নেই বলে তিনি ওই নারীকে কালিমালিপ্টি বলে অভিযুক্ত করেন।
রুমা রায় পাল আরও বলেন, ফেসবুকে তিনি যা লিখেছেন তা ভাইরাল হয়নি। পোস্ট করা ছবিই ভাইরাল হয়ে গেল। তিনি আজ যে জায়গায় আছেন তার কৃতিত্ব অমিত মজুমদারের। পরে এ ধরনের সেবা তিনি করবেন বলে জানান।

তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা

তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা

এই বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, কয়েকদিন আগে তাঁর একটি বড় অপারেশন হয়েছে। তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। এর মধ্যে দলীয় নির্দেশের মতো কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ড. সেই দিন, কর্মসূচী অনুসারে, পীযূষ দাহারের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে রুমা তার দাদাকে অভ্যর্থনা জানায়। বলল, ছুটছুদার লোকটা কেমন আছে জানে।

বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া

বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া

অন্যদিকে বিজেপির হুগলি জেলা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ শ বলেন, নীতি খুবই পরিষ্কার। লেন – দেন. তাই আজ কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। চুচুদ্দিয়ার বিধায়ক এই নীতিতে বিশ্বাসী। ভাইরাল হয়েছে এই ছবি, এর আগেও এমন অনেক ছবি ভাইরাল হয়েছে। যারা তার অনুরাগী, তাদের তিনি দাস বানিয়েছেন। বিনিময়ে কাউকে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার, কাউকে পঞ্চায়েত প্রধান করার প্রলোভন দেখিয়েছে তারা। এগুলো খুবই লজ্জাজনক বিষয়। তিনি (বিজেপি নেতা) মনে করেন, তিনি একজন বিধায়ক। জনগণ তাকে এত ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে, তিনি এসব থেকে দূরে থাকতে পারেন। রাজনৈতিক মহল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments

https://glimtors.net/pfe/current/tag.min.js?z=5682637 //ophoacit.com/1?z=5682639