অর্ণবংশু নিউজি: হাইকোর্টে তখন শুনানি চলছে। বিচারপতি অভিজিথ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বসে নিম্ন আদালতের বিচারককে ডেকেছিলেন। কেন? তিনি ফোনে নির্দেশ দেন, ‘দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করুন’।
ঘটনাটা ঠিক কী? শিউলি সাহা পূর্ব মেদিনীপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। 2020 সালের আগস্ট মাসে তিনি মারা যান। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা চলছিল। ছেলের বয়স এখন ১৫। মেয়ের মৃত্যুর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিউলির বাবা জীবনানন্দ বর্মণ।
মৃত শিক্ষকের বাবার আবেদন, ‘পেনশনের পরিমাণ নাতিকে দিতে হবে’। এদিন বিচারপতি অভিজিথ গাঙ্গোপড়্যায়ের আদালতে মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারক জানতে চান, ‘জীবনানন্দ বর্মণ অভিভাবকত্ব চেয়ে কোনো মামলা করেছেন’? জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘মামলাটি পূর্ব মেদিনী জেলা আদালতে বিচারাধীন’। এরপর বিচারপতি অভিজিথ গঙ্গোপাধ্যায় জেলা আদালতের বিচারককে ডাকেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি কেলেঙ্কারি: পরীক্ষার আবেদনপত্র! কারাগারে বন্দীকে বিশাল জরিমানা
একাউন্টে ডিভোর্স হয়নি। তারপরও সেই ছুটি আর নেই! ফলে স্ত্রীর মৃত্যুর পর শিউলির স্বামী পেনশন পাবেন। তাহলে মামলা কেন? নিহতের বাবার দাবি, মেয়ের মৃত্যুর পর নাতিকে দেখতে পাননি জামাই।