মৌমিতা চক্রবর্তী এবং কমলাক্ষা ভট্টাচার্য: বাংলা শিখতে চান রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার তার হাতে আঁকা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ খবর জানানো হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলের নেত্রীকে। কিন্তু সেই হাতের কারুকাজ অনুষ্ঠানে ধৈর্য ধরেছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার পরামর্শ, ভুল প্রভুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ভুল মাস্টারের কাছ থেকে শিখুন এবং ভুল থেকে শিখুন। প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি থাকবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন- গ্যালারি থেকে উঠল ‘সারা ভাবী’ আওয়াজ! শুভমনের অবস্থা দেখে হাসতে শুরু করেন বিরাট
দিলীপ ঘোষ বলেন, শুনেছি মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপাল বাংলা শিখতে সমস্যায় পড়বেন। এখন আপনি যদি ভুল মাস্টারের কাছ থেকে শিখেন তবে আপনি ভুল থেকে শিখবেন। তিনি সঠিক মাস্টার নির্বাচন করেন। তিনি বাংলায় কথা বললে আমরা খুশি হব। বাংলা সাহিত্য পড়তে পারেন। আরো ভালো লাগবে
রাজ্যপালের হস্তশিল্প অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না, টুইট করেছেন শুভেন্দু। যেখানে সাদা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চাকরি হয়, যেখানে চাকরি বিক্রি হয়, সেখানে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের বিতরণ কার্যক্রম করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে তিনি থাকছেন না।
যে কারণে আমি আজ রাজভবনে “হাতে খোরি” অনুষ্ঠানে যোগ দেব না:- pic.twitter.com/5yJeQ2JmKP
— শুভেন্দু অধিকারী জানুয়ারী 26, 2023
সি ভি আনন্দ বসুর রাজ্যপাল পদে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিজেপির। কিছু দ্বন্দ্বও বলা যায়। তবে গতকাল দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, রাজ্যপাল ছাড়া রাজনীতিতে কেউ যদি স্বস্তি বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে রাজনীতি ঘোলাটে হয়ে যায়। রাজ্য সরকারের উচিত বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করা। গভর্নরের সঙ্গে সরকার বা বিরোধী দলের লড়াইয়ের দরকার নেই।
উল্লেখ্য, জগদীপ ধনখরের সময় বিজেপির সঙ্গে রাজ্যপালের যে সম্পর্ক ছিল তা আর নেই। আনন্দ বোডস বাংলা শিখবে এবং তার জন্য তার পাশে দাঁড়াবে শুনে গেরুয়া ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতা স্বপন দাস গুপ্ত জি ২৪ ঘাঁটি জিক্তাক্র বিজেপি নেতা বলেন, এক বৃদ্ধ বাংলা শিখছেন। খুব ভালো কথা তবে এর মধ্যে একটি রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। এই খবরে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্র ভালো নয়। দুর্নীতির বিষয়টি আগেই বলা হয়েছে। পুরো শিক্ষা বিভাগ এখন প্রায় কারাগারে। এমন এক সময়ে দেখতে দেখতে মনে হয়। এটা একটা স্টান্ট। এই স্টান্টে রাজ্যপালের পড়া উচিত নয়। তিনি এখানে দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন।
অন্যদিকে, স্বপন दासगुप्त्य निए दिलीप गोष-এর মন্তব্যে বলা হয়েছে, दिलीपबाबु क्या जाती है तथा तथा । কারণ সরস্বতী পুজো বা শিক্ষার সঙ্গে হস্তশিল্পের কোনও সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। এটা একটা পাবলিক শো, এটাকে একটা স্টান্ট বলা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্যপালের প্রচার তা বলতে পারছি না। মনে হয় দুটোই হবে।