কোরবাএক ঘন্টা আগে
- লিংক কপি করুন
১০ জুলাই আত্মহত্যা করেছিলেন অংশু কুমার মিশ্র।
একটি অজানা নম্বর থেকে বারবার কল কোরবা জেলায় এক মহিলার আত্মহত্যার কারণ হয়ে উঠেছে। বুধবার অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহিলা 10 জুলাই 2022 আত্মহত্যা করেছিলেন। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি মানিকপুর চৌকি এলাকার।
তথ্য অনুযায়ী, আংশু মিশ্র (৩৩ বছর) আম্বেদকর ভবনের কাছে স্বামী গগন মিশ্রের সঙ্গে থাকতেন। দুজনের ৩টি সন্তানও রয়েছে। 11 বছরের একটি মেয়ে এবং তার থেকে ছোট 2 ছেলে। আংশু তার মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসত, যেটি সম্পর্কে তার স্বামী তাকে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করেছিল। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আত্মীয় বা পরিচিতজনের ফোন পেলেও সন্দেহ করতেন।

আত্মহত্যা করেছিলেন আংশু মিশ্র।
স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন
চারিত্রিক সন্দেহের কারণে স্বামী প্রতিদিন স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করতো এবং তাকে মারধর করতো। স্বামী গগন ক্রমাগত স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এতে বিরক্ত হয়ে স্ত্রী অংশু মিশ্র 10 জুলাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ স্বামীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। স্বামী গগন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিনও স্ত্রী একটি মিস কল পেয়েছিলেন। স্ত্রীকে কার ফোন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কে ফোন করছে তা তিনি জানেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাড়িতে কেউ না থাকায় স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

শরীরে আঘাতের চিহ্ন।
মৃত আংশু দিল্লির বাসিন্দা, আর তার স্বামী গগন মিশ্র বিহারের বাসিন্দা। দুজনেই 13 বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন। গগন কোরবা জেলায় কাজ করেন এবং মানিকপুর চৌকি এলাকায় আম্বেদকর ভবনের কাছে তার বাড়ি তৈরি করেন। নিহতের ভাই ও মা জামাই গগনের বিরুদ্ধে বিষয়টি সন্দেহজনক বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, তার জামাই মদের নেশায় তার মেয়েকে সবসময় মারধর ও গালিগালাজ করত। এমনকি মা-ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললেও আপত্তি করতেন।

অভিযুক্ত স্বামী গগন কুমার মিশ্র।
জামাইয়ের বিরুদ্ধে শাশুড়ির অভিযোগ
নিহতের মা জানান, মোবাইলে কারো কল এলে তাকে ভুল চোখে তাকাতো। অনেকবার মেয়ে তাকে ভিডিও কল করে ছবি তুলে মারামারির ছবি দেখিয়েছিল। কিন্তু তারা ভেবেছিল এটা স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার, আজ না হলে কাল তারা এক হয়ে যাবে, কিন্তু গগন তাকে এতটাই অত্যাচার করেছিল যে আংশু গলায় ফাঁস দিয়েছিল। এখানে মানিকপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, অভিযুক্ত স্বামী গগন মিশ্রকে ৩০৬ ধারায় গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে।