জি 24 আওয়ার ডিজিটাল ব্যুরো: রশিদ খানের পরিবারের পুলিশি তদন্তে নতুন মোড়। 24 ঘন্টার মধ্যে নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে মঙ্গলবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? রশিদ খানের ড্রাইভার কি সত্যিই খুন হয়েছিল? এর আগে কি চালকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে? যাত্রীদের চালকরা কি মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন? মেডিকেল রিপোর্ট ঠিক কি বলছে? রশিদের পরিবার থানায় অভিযোগ করেনি কেন? চালককে ছেড়ে দিতে রশিদ খানকে কেন প্রগতি ময়দান থানায় ডাকা হয়েছিল? ঠিক কী ঘটেছিল থানায়? এমন অনেক প্রশ্ন আছে। আর এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
এই মামলায় ইতিমধ্যেই রশিদ খানের গাড়ির চালক রঞ্জিত ওঝাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রশিদ খানের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে রশিদ খানের স্ত্রী জয়িতা বসু খানের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ সূত্রে জেআই-২৪ ঘন্টার হাতে পাওয়া ভিডিওতে রশিদ খানের স্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন কী হল? আমি যখন ঢুকলাম, আমার জিভ কি বেশি নড়ছিল? আমরা ছোট হয়ে আমাদের ক্ষমতা দেখিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুলিশকে সম্মান করি, তার মানে এই নয় যে তারা যা খুশি তাই করবে। রশিদ খানের স্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতিকে আঁকড়ে ধরে ভুল করেন। তুমি অনেক বড় ভুল করেছ। মানুষ দেখবে কে এমন করে, যার জন্য দিদি আমাদের মতো মানুষকে লালন-পালন করে। কালও হবে না। ভাববেন না, আমি করে দেব।’ ঋষিদের পরিচিত এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘রঞ্জিনি কে উত্পটাং সিক্যাচল। আমি বললাম, রঞ্জিত সারে, তুমি এটা করবে না।’ এরপর আবার রশিদ খানের স্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘কি, তোমার মুখ দেখাও। বাংলার বিহারে আসতে অসুবিধা হয় ভাই।
রশিদ খানের পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত ভিডিওতে দেখা যায়, থানায় পৌঁছে কিছু কাগজের কাজ করছেন রশিদ খান। সেখানে রশিদ খানের স্ত্রী বলেন, তার চালকের প্রস্রাব ও রক্তের নমুনা নেওয়া হয়নি। জোর করে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি এবং মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, রশিদ খানের গাড়ির চালক রঞ্জিত ওঝা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। যেখানে 100 মিলিগ্রাম পাওয়া অ্যালকোহলের পরিমাণ 66.7 মিলিগ্রাম। 30 মিলিগ্রাম যেখানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যদিও রাশেদ খানের গাড়ির চালক দাবি করেছেন, ‘আমী আলকোলু নীই। কোনো মেডিকেল টেস্ট করা হয়নি। এক টুকরো কাগজে সব লেখা আছে।’ যদিও এর আগেও রশিদ খানের গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে ১৯টি অভিযোগ রয়েছে।জানা যায়, পরে রশিদ খানের গাড়ির চালককে চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার মেডিকেল রিপোর্টেও বলা হয়েছে চালক মদ্যপ ছিলেন। যদিও রশিদ খানের স্ত্রী জয়িতা বসু খানের দাবি, তার গাড়ির চালকের প্রস্রাব ও রক্তের নমুনা নেওয়া হয়নি। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক তথ্য অনুযায়ী, রঞ্জিত ওজ্জা রিপট অপরাধী। গত দুই বছরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে আইন ভঙ্গের অভিযোগে ১৯ বার মামলা হয়েছে। এর মধ্যে 13 জন অতিরিক্ত গতিতে এবং 1 জন বিপজ্জনক গাড়ি চালানোর জন্য। এর আগে ভবানীপুর থানায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। যার বিবরণ ওস্তাদ রশীদ খানকেও দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রশিদ খানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তদন্ত কমিটি। যুগ্ম কমিশনার ও ডিসিডিডির নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।