পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে বিধায়কের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পরে সভা শেষ করতে হয়েছিল। সেই এলাকা ছেড়ে ফিরে আসতে হয়েছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে।
নদীয়া মুর্শিদাবাদ
oi-সঞ্জয় ঘোষাল

মূর্দাবার বুক্ঞার বীধায়ক ‘দিদির প্র্যাক্টা কবচ’ প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। গ্রামে ঢুকতেই বিপর্যয় ঘটে। শেষপর্যন্ত চালের আটা খেতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তবে কি এমন ঘটনা ঘটেছে, যাতে স্থানীয় লোকজন বিধায়ককে ধাওয়া করে। অধীর চৌধুরীর জেলায় তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে ক্ষোভের আগুন।
শনিবার বোন রক্ষার কর্মসূচি ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহারের সঙ্গে बचसा बाधे। তখন বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাকে ধাওয়া করে অভিযুক্ত করে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের তেলদুমা গ্রামে। বিদায়কর সহ দ্বোভোস্থাস্তি বধে বিদ্যা যুবাং দেখরে।

দিদির সুরক্ষার কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে এসেছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই সময় গ্রামের কয়েকশো যুবক তৃণমূল বিধায়ককে ঘেরাও করে নিজেদের দাবি জানাতে থাকে। সভাস্থলে যাচ্ছেন বিধায়করা। কিন্তু প্রতিবাদকারীরা যারা তার পথ অবরোধ করেছিল তারা তাদের নিজস্ব দাবি করেছিল এবং যা পূরণ করতে হবে তার সমর্থনে প্রতিবাদ করতে থাকে।
স্থানীয় যুবকদের বাধা সরানোর পর নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয় কর্মীরা বিধায়ককে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যান। সেখানেও আন্দোলনকারীরা গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিধায়কের বক্তৃতার সময় বিক্ষোভকারীরা বাক্সটি মাটিতে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে বুকচা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে বিধায়কের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পরে সভা শেষ করতে হয়েছিল। সেই এলাকা ছেড়ে ফিরে আসতে হয়েছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিক্ষোভকারীরা বলেছিলেন যে তারা সমস্যার কথা বলতে এসে তাদের আঘাত পেতে হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদেরকে পরে আসতে বলা হয়েছে। এখন না বললে কবে বিধায়কের কাছে আমাদের দাবি জানাব।
তবে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মতে, গ্রামের ছেলেরা অভিযোগ জানাতে একত্র হলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হবে। কিন্তু অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। এলাকার যুব বন্ধুরা ক্লাব ও খেলার মাঠের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেটাই বলেছি, পরে কথা বলব। কোনো ঝামেলা হয়নি। তিনি বলেন, আলোচনার পর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে।
বৈঠকে এই অসন্তোষের ঘটনা সামনে এসেছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। কথোপকথন দ্বন্দ্বে বুকাঞ্জ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ফলে উত্তেজনা শুরু হয় এবং উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসে।
ইংরেজি সারাংশ
পঞ্চায়েহাট নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে ‘দিদির দূত’ হয়ে আন্দোলনের মুখোমুখি তৃণমূল বিধায়ক।
গল্প প্রথম প্রকাশিত: শনিবার, ফেব্রুয়ারি 4, 2023, 19:50 [IST]