ইন্দোরএক ঘন্টা আগে
ইন্দোরের একটি এটিএম থেকে যারা বিভিন্ন লেনদেন করে টাকা তোলেন তারা এখনও পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি। সিসিটিভি ফুটেজ, জিজ্ঞাসাবাদ ও ইনফরমার সিস্টেম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেড় মাস পার হলেও পুলিশ খালি হাতে। দিল্লির সঙ্গে এই চক্রের যোগসূত্র রয়েছে বলে জল্পনা রয়েছে। সেই কারণে ইন্দোর পুলিশ আবারও দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
আগে জেনে নিন পুরো ব্যাপারটা কী…
ঘটনাটি বিজয় নগর থানা এলাকার। ১৯ ডিসেম্বর আরবিএল ব্যাঙ্কের বিজয় নগর শাখার ব্যবস্থাপক থানায় একটি রিপোর্ট লিখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে 2022 সালের 5 ও 6 অক্টোবর পৃথক লেনদেন করে দুই দুর্বৃত্ত টাকা তুলেছিল। 12 ডিসেম্বর ভিজিল্যান্স টিমের কাছ থেকে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। ৫ অক্টোবর দুর্বৃত্তরা ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার ২৭টি সন্দেহজনক লেনদেন করে এবং ৬ অক্টোবর ২৩টি সন্দেহজনক লেনদেন করে ২ লাখ ২৯ হাজার ও ৫০টি সন্দেহজনক লেনদেন করে মোট ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা করেছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে। লেনদেনের সময় এটিএম মেশিনে কারচুপি করা হয়েছিল। যার সিসিটিভি ফুটেজও পেয়েছে পুলিশ।
দিল্লি সংযোগ, বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে
ঘটনার পর পুলিশ কিছু তথ্য পায়। এ নিয়ে বিজয় নগর পুলিশের সন্দেহ, গোটা ঘটনার সঙ্গে দিল্লির যোগ রয়েছে। টিআই রবীন্দ্র গুর্জার জানতে পেরেছিলেন যে দিল্লিতেও এটিএম থেকে টাকা তোলার কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে ইন্দোর পুলিশ দিল্লি পুলিশকে চিঠি লিখে তথ্য চেয়েছিল।
দেড় মাস পরেও খালি হাতে
বিষয়টি নিয়ে টিআইয়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমানে দিল্লি পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি। অতএব, এখন তারা এই বিষয়ে আবার দিল্লি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করবে এবং তথ্য চাইবে। যদি দেখা যায়, দেড় মাস ধরে এ ব্যাপারে পুলিশ এখনও খালি হাতে।
রেকি করে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে
এটিএম রুমে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ ছাড়াও আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও স্ক্যান করেছে পুলিশ। যেখানে দুর্বৃত্তরা রেকি করে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবনের সিকিউরিটি গার্ড এদিক ওদিক হতেই এটিএম রুমে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা।
এছাড়াও এই বিষয় সম্পর্কিত এই খবর পড়ুন
ইন্দোরে প্রতারণার নতুন পদ্ধতি: এটিএম থেকে 50টি লেনদেন, 5 লক্ষ টাকা উড়িয়ে…
দুই দিনে এটিএম থেকে ৫০টি লেনদেন করেছে দুষ্কৃতী। তারা মোট ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
আপনি নিশ্চয়ই ইন্দোরে জালিয়াতির অনেক ঘটনার কথা শুনেছেন, আপনি তাদের পদ্ধতি সম্পর্কেও জানতে পারবেন। কিন্তু এখানে দুই দুষ্কৃতী এমন প্রতারণার পদ্ধতি অবলম্বন করে, যা দেখে আধিকারিকরাও অবাক। এটিএম থেকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বের করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। দুর্বৃত্তরা টাকা তোলার বিষয়টি ব্যাংকেরও জানা ছিল না। সম্পূর্ণ খবর এখানে পড়ুন…