লুধিয়ানা15 মিনিট আগে
থানা লাদোয়ালে একটি কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছে।
শুক্রবার গভীর রাতে পাঞ্জাবের তারন তারানের সারহালি থানায় রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালানো হয়। এর পর লুধিয়ানা পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। মহাসড়কের থানাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে জেলা পুলিশ। লাদোয়াল থানার বাইরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছে।
ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাংকার তৈরি করে থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জেলা লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনার মনদীপ সিং সিধু উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সব থানায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। মহাসড়কে থানা ও চৌকিতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
থানার বাইরে নেট বসানো হচ্ছে
থানার বাইরে নেট ইত্যাদি বসানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি থানার বাইরে নেট বসানো হয়েছে। আজ কয়েকটি থানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। লুধিয়ানা জেলার প্রধান রাস্তাগুলি হল থানা লাদোওয়াল, সিআইএ-1, সাহনেওয়াল, ডেহলন, সালেমতাবাড়ি, বাস্তি জোধেওয়াল, ঈশ্বর নগর চৌকি, কাতানি কালান এবং জনক পুরী চৌকি ইত্যাদি।
সিআইএ-১ থানার বাইরে নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন।
গভীর রাতে রকেট ছোড়া হয়
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে তরনতারনের সরহালি থানায় একটি রকেট ছোড়া হয়। হামলার পিছনে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীদের সংযোগ সামনে এসেছে। এর দায় নিয়েছেন খালিস্তানি সন্ত্রাসী গুরপতবন্ত সিং পান্নু।
যে স্থানে হামলা হয়েছে সেটি গ্যাংস্টার হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দার পৈতৃক বাড়ি। তবে এর আগে পাকিস্তানে রিন্দার মৃত্যুর তথ্য সামনে এসেছিল। বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই রিন্দার সন্ত্রাস বজায় রাখতে চায়। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে আইএসআই-এর প্ররোচনায় এ হামলা করা হয়েছে।
আতঙ্ক সৃষ্টির চক্রান্ত
পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের ছোড়া গ্রেনেড বিস্ফোরিত না হলে সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। বুথ সিল করে দেওয়া হয়। তারন তারান মামলায় পুলিশ বলছে, এটা মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র।