বিক্রম দাস ও অরুণবংশু নিয়োগী: গড়চা রোড, বালিগঞ্জ, গাধিয়াহাটের পর এখন পার্ক স্ট্রিট। কলকাতা পুলিশের তল্লাশিতে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা। ওই টাকা গাড়িতে ছিল। গাড়ির চালকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর সভার অনুমতি না পেয়ে ক্ষোভ বিজেপির!
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং অ্যান্টি-রাউডি বিভাগ কলকাতার দুটি জায়গায় অভিযান চালায়। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় একটি গাড়িতে করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর ছিল। পুলিশ গাড়িটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে। রাজেশ কাসেরা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার গাড়ি তল্লাশি করে উদ্ধার হয় ১ কোটি টাকা। টাকা গোনার কাজ শেষ হয়নি। ফলে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এত টাকা কোথা থেকে এল, তার উত্তর তিনি দিতে পারবেন না বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪১ ও ৩৭৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সূত্রের খবর, ক্যামাক স্ট্রিটের পাশাপাশি পার্ক স্ট্রিটের একটি অফিসেও তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। সেখানেও নগদ টাকা উদ্ধার করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ আজ 119 পার্ক স্ট্রিটের কাছে গাড়ি থামায়। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে টাকা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও গাদিয়াহাটে একটি মলের সামনে গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি একটি শপিংমলের সামনের রাস্তায় হোন্ডা সিটির একটি গাড়ি আটক করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশ গাড়িটি আটক করে তল্লাশি শুরু করে। গাড়িটি পার্কসার্কাসের দিক থেকে গাধিয়াহাটের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িতে চালকসহ মোট ২ জন ছিলেন। গাড়ি তল্লাশি করতে করতে একটি ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে টাকার বান্ডিল। ওই টাকার উৎস সম্পর্কে গাড়িতে থাকা ২ জন কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। পরে তাদের গদিয়াহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, সেই টাকার পরিমাণ হবে ১০০ কোটি টাকার বেশি।
গাধিয়াহাটের আগে বালিগঞ্জের গড়ছায়ায় একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ওই টাকার উৎস খুঁজতে গিয়ে ইদি দাবি করেন, ওই টাকা কয়লা পরিবহনের টাকা। একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তার কালো টাকা সাদা করে ফেলছিলেন। সেই প্রভাবশালী নেতা ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের মাধ্যমে সেই কাজ চলছিল। একটি সম্পত্তি বাজার মূল্যের চেয়ে 3 কোটি টাকা কম হস্তান্তর করা হয়। এর সাথে 9 কোটি টাকার নগদ লেনদেন হচ্ছিল। ওই টাকার একটি অংশই উদ্ধার করা হয়েছে। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।