উত্তরবঙ্গ
oi-সঞ্জয় ঘোষাল

গোর্খাল্যান্ডের দাবি সামনে রেখে কি পাল্টে যাচ্ছে পার্বত্য রাজনীতি? বিরোধীদের সঙ্গে একই মঞ্চে তৃণমূল নেতা বিনয় তাম্মাও-এর অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে সামনে রেখে রাজনীতি জোরদার করতে বদ্ধপরিকর পাহাড়ের নেতারা।

গোর্খালিল্ডের দাবিতে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতা বিনয় থামাও-র কন্ঠে যোগ দেওয়ার পর জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে তিনি খুঁত পেতে চলেছেন কি না। কারণ তৃণমূলের মূল মন্ত্র বাংলা ভাগ না চাই। আলাদা গোর্খাল্যান্ড নয়, গোর্খারা থাকুক বাংলায়। গোর্খারা ইঙ্গলার্গ এর অংশ। দার্জিলিং বাংলার মুকুট।
তৃণমূলের অবস্থান তখন তৃণমূল নেতা বিনয় থামানোর ইচ্ছে গোর্খাল্যান্ডের মঞ্চে গেলেও ভাঙনের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কিন্তু পাহাড়ের শিকড় কি ভাঙতে চলেছে? পাহাড়ে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান মুখ কি দল বদল করতে চলেছেন? ওই এলাকায় আবারও নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে পাহাড়। সেই সম্ভাবনাই ঘুরে বেড়াচ্ছে পাহাড়ের রাজনীতির ছায়ায়।
বিনায় তামাঙ্গ সোজাপত্তা বেলাদী, দাল্প প্রেন, গোর্ধাচ্যালাণ্ড। অর্থাৎ গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে তিনি কোন দলের, তার এজেন্ডা কী? কাজেই, গোর্খল্যান্ড ইস্যুতে যদি কোনো ফাটল দেখা দেয়, তাহলে আবারও বিমল গুরুং এবং বিনিয়া তামাওদের মধ্যে জোট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। নির্বাচনের আগে পাহাড়ের রাজনীতিতে অন্য হিসাব দেওয়া যেত।
এদিন দিল্লিতে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে সেমিনার হয়। সেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং ছিলেন, আমাদের দলের সুপ্রিমো অজয় এডওয়ার্ড এবং তৃণমূল নেতা বিনয় তাতামাও ছিলেন। ফলে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে সামনে রেখে জোট গড়তে পারে এই তিন পাহাড়।
গোটা রাজ্যের সঙ্গে পাহাড়েও হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে পাহাড়ে তিনটি বোর্ড নির্বাচন। এ অবস্থায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্গার সেমিনারে পাহাড়ের শীর্ষ নেতৃত্বের মঞ্চে আসা তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু বিজেপি প্রধান অনীত থাপাই নন। ফলে পাহাড়ে নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়াটা সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন পাহাড়ে অনীত থাপারের নতুন দল বিজেপি। সম্প্রতি তারা জিটিএ নির্বাচনে জিতেছে। আমাদের দল দার্জিলিঙ্গ প্যারাশ্বর রাশায়া দারলিঙ্গ প্রশ্বার রাশ্যা ক্রাশ জিতেছে। অনীত থাপারের পিছনে রয়েছে তৃণমূলের সমর্থন। এই পরিস্থিতিতে, বিমল গুরূং, বিনায় তামামা, আজয় এড্যাড্রা একজোট হয়ে অনিত থাপাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। আবার তারা বিজেপির সমর্থনও পেতে পারে। পাহাড়ের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
অনিত থাপা এবং বিনয় তামাং একসময় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-এর সহযোগী ছিলেন। 2019 সালের আগে – দার্জীলিং उत्तप्ति बोल्वर्सा बिमल गुरुं पहार बिमल गुरूं गुरूं के बाद भी किया गया विशेष की विशेषति है। বিনিয়া তামাঁ এবং অনিত থাপা ক্রমই সর্বেসরভাও ঘুনে দান গোর্খা জনমুক্তি মোর্ঘার। এরপর ২০২১ সালের আগে- বিমল গুরুন ফিরে এলে পাহাড়ের শাসক দল বিভক্ত হয়ে পড়ে।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গুরুংপন্থী এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তামাংথি দলগুলি তৃণমূলের পক্ষে থাকলেও কয়েকটি নির্বাচনে একে অপরের সাথে লড়াই করে। তারপর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে অবদান রাখেন। আর তার সঙ্গী অনীত থাপ্পা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে নতুন দল গঠন করেন। সেই একই বিজেপি এখন পাহাড়ের শাসক দল। এ অবস্থায় পাহাড় সমীকরণে নতুন মোড় আসতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইংরেজি সারাংশ
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টিএমসি দার্জিলিংয়ে ভাঙতে পারে এবং পাহাড়ি রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিতে পারে।
গল্প প্রথম প্রকাশিত: শনিবার, ডিসেম্বর 10, 2022, 20:03 [IST]