আবারো এক মর্মান্তিক ঘটনা।
চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটেছে চুচুড়া শ্যামবাবুর ঘাঁটিতে। নিহতের নাম ভারতী ধারা (৬২) বলে জানা গেছে। তদন্তকারীরা ভাবছেন কীভাবে আলমারির ভেতরে ঢুকলেন বৃদ্ধা! তাকে কেউ মেরে লুকিয়ে রেখেছে নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে? তাকে ঘিরে রয়েছে রহস্য। এদিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। গত কয়েকদিনে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছে দেশটি। আর সেই ঘটনার রেশ না কাটলে আবারও ঘটল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা।

বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম মা কোথায় গেল?
অন্যদিকে বৃদ্ধার ছেলে বিশ্বনাথ ধারা বললেন, মা তুমি ওই বাড়িতে থাকতে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার বাবা-মায়ের সাথে সবসময় ঝগড়া হতো। পরশু থেকে মাকে দেখতে পারিনি। বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম মা কোথায় গেল? বাবা বললেন যে তিনি জানেন না। এরপর মামার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। এমনকি ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেও মায়ের খোঁজ করা হয়, বিশ্বনাথ জানান। কিন্তু খোঁজ নিতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু আজ সকালে পুরো খেলাটাই উল্টে গেল! কাপড় বের করার সময় আলমারিতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর তা দেখেই আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছে না ধারা পরিবার। বিশ্বনাথ বলেন, মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া হলেও বাবা কখনো মায়ের মুখে হাত দেননি।

কোন হ্যালো নেই
কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর কাছে মদ খেতে চেয়েছিলেন বৃদ্ধ কাশীনাথ। কাশীনাথ বৃদ্ধা পরিচারিকা হিসেবে কাজ করে উপার্জন করতেন। আর তা নিয়ে অস্থিরতা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা দেবযানী ধারা বলেন, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আলাদা বাড়িতে থাকেন। পাশের বাড়িতে তার ছেলে বউমা থাকে। বুড়ির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বৃদ্ধাকে কিছু বলেনি। আমি অবাক হলাম যে দুজন একসাথে আছে কিন্তু একজনকে পাওয়া যাচ্ছে না।

শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে।
মৃত মহিলা কাজল ধারা অবশ্য সরাসরি আঙুল তুলেছেন শ্বশুরবাড়ির দিকে। বাজে কথায় অনেক ঝগড়া হতো।আমার স্বামী বেশির ভাগ সময় দূরে থাকতেন ক্যাটারিং এর কাজ করে।এই ঘটনার পর শ্বশুর বাড়ি দরজার নিচে রেখে বলে রেললাইনে খোঁজাখুঁজি করে। আলমারিতে রাখুন।