ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে অ্যাডেনোভাইরাস। এই ভাইরাস শুধু শিশুদের নয়, বড়দেরও প্রভাবিত করছে। আর তাতেই ক্রমেই বিপদ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন চিকিৎসকরা? বাঁচানোর উপায় কি
পুরুলিয়া বাঁকুড়া
oi-কৌসিক সিনহা

বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় রাজ্যে অ্যাডেনো ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দক্ষিণের জেলা বাঁকুড়াও ব্যতিক্রম নয়। মূলত শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রের খবর, অ্যাডেনো ভাইরাস একটি ডিএনএ ভাইরাস। এটি কাশি এবং সর্দির মাধ্যমে এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। অ্যাডেনোভাইরাসে আক্রান্তদের জ্বর, কাশি, আমবাত, জ্বর, গলা ব্যথার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকতে পারে। তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে বাঁকুদ্দা সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালের আউটডোরে ক্যাটর, জন্ডিস, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে এডিনো ভাইরাসের উপসর্গসহ মোট ৭০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, যার মধ্যে নতুন ৮ জন রয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হয়নি।
ডক্টর সজল বিশ্বাস, ডেপুটি সিএমওএইচ-৩ অবিশে বুঁড়া, বলেন, এই মুহূর্তে মাস্ক পরা দরকার, যেহেতু অ্যাডেনোভাইরাস হল ‘জ্বর’ মানে জ্বর, তাই বাচ্চাদের কয়েকদিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো। জ্বরের লক্ষণ আছে। যেহেতু শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই তাদের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
বাঁকোদা সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু বলেছেন যে আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এডিনো ভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ শিশুই আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু বড়দের মাধ্যমে শিশুরা সংক্রমিত হতে পারে। তাই প্রাপ্তবয়স্কদের যেমন শিশু আক্রান্ত হলে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে, তেমনি শিশুদের ক্ষেত্রেও এ ঘটনা ঘটলে তাদেরও সবার থেকে দূরে রাখতে হবে। তবে অনেক রোগীর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হলেও এই মুহূর্তে কোনো রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানান তিনি।
ইংরেজি সারাংশ
ডাক্তাররা অ্যাডেনোভাইরাসের জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলেন, সেখানে অন্যান্য পরামর্শ কী আছে