তৃণমূলের 6000 নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন
খড়কগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির নির্মাণ ও পরিবহন প্রধান আবুল হাসনাত একা নন, তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের 6000 নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। অধীর চৌধুরীর কথায়, শনিবার তাদের ঘর-বাড়ি উষ্ণায়ন হয়েছে।

কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
কংগ্রেসে যোগ দিতে এসে, খড়খগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির নির্মাণ ও পরিবহন নির্বাহী আবুল হাসনাত, খড়খগ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিতের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পালাক্রমে পঞ্চায়েত সমিতির নির্মাণ ও পরিবহন প্রধান আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না
কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল বিভাজন হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে তৃণমূল দল ধ্বংস হয়ে যাবে। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। বাংলায় তাদের ধারাবাহিকতা শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি সাগরদিঘী উপ-নির্বাচনেও একই অনুভূতি পাওয়া গেছে। পাঞ্চায়েথ নির্বাচন স্বচ্ছ হলে তৃণমূলের হার নির্ধারিত।

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর তৃণমূলে বিভক্তি
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, যে আসনটি তিনবার জিতেছে। কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হার মেনে নিয়ে রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিশানা করল তৃণমূল। এমনকী, সম্প্রতি কালীঘাটে টিএমসির বৈঠকেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দুই সাংসদকে হত্যা করেছিলেন।

দিদি তার দলের সাংসদের ওপর আস্থা রাখেন
মমতা বলেন, তৃণমূলের দুই সাংসদ অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই একই মন্তব্য আজ অধীর চৌধুরীর আঁচড় দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, উসকর ডালের সদস্যদের বিশ্বাস করিয়ে দিদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেশে ফেরার পর
এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী আরও বলেন, তাঁরা কংগ্রেস তৃণমূল ছেড়েছেন। তারা কংগ্রেস করত। লোভ দেখিয়ে অনেককে বিভ্রান্ত করে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারা এখন বোঝে তৃণমূল কংগ্রেস এখন শক্তিশালী। সেই কারণেই কংগ্রেসে যোগদানের পর পঞ্চায়েত সমিতির নির্মাণ ও পরিবহন ব্যবস্থাপক আবুল হাসনাত জানান, তিনি ওই দলে থাকতে পারবেন না।

তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে ইচ্ছুক
তিনি বলেন, ওই পার্টিতে এতক্ষণ কী করছিলাম। এত দেরি হয়েছিল যে আমি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি, তার জন্য আমরা শুনতে প্রস্তুত। কিন্তু আমি আর সেই দলে থাকতে চাই না। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ঘরে ফিরে আমরা খুশি। এই আনন্দের কথা মাথায় রেখেই আমরা সব ধরনের সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত।