ভিওয়াদি (আলওয়ার)এক ঘন্টা আগে
ছবিটি পরিবারের সদস্য নীতুর। হালুয়া খেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এখন অবস্থা ভালো।
যে পরিবারটি ইউপি থেকে আলওয়ারের ভিওয়াড়িতে ধর্মীয় সফরে এসেছিল, তাকে ধর্মশালায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে এক যুবক প্রসাদ হিসেবে সবাইকে গজার কা হালুয়া দেন। পরিবারের একজন সদস্য পুডিং খাননি। সকালে তিনি লোকজনকে ঘুম থেকে তুলে আনলে সবাইকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
এই লোকেরা ভিওয়াড়িতে বাবা মোহন রাম মন্দিরে এসেছিলেন। খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছেন একই পরিবারের আরও ৬ জন। রবিবার সকালে অচেতন অবস্থায় সকলকে ভিওয়াড়ির মহকুমা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সবার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী। দুইজন রোগীকে একটি করে বেডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভিওয়াদির উপ-জেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছবি।
গাজরের হালুয়া খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান
অতিরিক্ত এসপি বিপিন শর্মা জানিয়েছেন যে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের কাছে সাতেদির পরিবার শনিবার দুজের (তারিখ) দিনে ভিওয়াদিতে বাবা মোহন রাম কালী খুলি ধাম দেখতে এসেছিল।
দর্শন করে জয়রাজ ধর্মশালায় অবস্থান করেন। রাত ১০টার দিকে এক যুবক এসে পরিবারকে প্রসাদ হিসেবে গাজরের পুডিং দেয়। রাতেই অজ্ঞান হয়ে যান পরিবারের ৬ সদস্য। পুডিং খাওয়া আরও দুজনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এটি আলওয়ারের ভিওয়াড়িতে বাবা মোহন রাম কালী খুলি ধাম। পরিবারটি মুজাফফরনগর থেকে এখানে বেড়াতে এসেছিল।
খবর পেয়ে ভিওয়াড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার খোঁজ নেয়। বিষপানের ঘটনাটি ঘটিয়েছে অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে- ঘটনাস্থলেই গাজরের হালুয়ার নমুনা নেওয়া হবে। এতে কী ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। নিহতের পরিবারের কাছে কোনো ধরনের চুরি-লুটপাটের ঘটনার খবর নেই, মালামালও নিরাপদ রয়েছে।
খাবারে বিষক্রিয়ার শিকার প্রবীণের কাছ থেকে ঘটনার তথ্য নিচ্ছে ভিওয়াদি পুলিশ।
পরিবারের সবাই ধর্মশালায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন
নির্যাতিতা নীতু জানান, শনিবার রাতে বাবার দর্শন করে পরিবারের সবাই ধর্মশালায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই 25-26 বছরের এক যুবক এল। বাবা মোহন রামের প্রসাদ বর্ণনা করে সবাইকে দেওয়া হল গজার কা হালুয়া। আবার চলে গেছে। চাচা চাঁদ কুমার ও ছোট দুই বাচ্চা প্রসাদ খায়নি। সকালে চাচা ঘুম থেকে উঠলে জানতে পারি সবাই অজ্ঞান।
এক সদস্য চাঁদ কুমার প্রজাপত জানান, শনিবার বিকাল ৩টায় বাবার দর্শন করে ধর্মশালায় পৌঁছান তিনি। সবাইকে অজ্ঞান দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। আমি হালুয়া খাইনি। সবাই চিকিৎসার জন্য ভর্তি। এখন সবাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
ধর্মশালায় পাশের ঘরে ঘুমন্ত টঙ্কের বাবলুর ছেলে গঙ্গারামও শিকার হয়েছিলেন। বাবলু বাবা মোহন রাম মন্দিরে শ্রমিকের কাজ করেন। বাবলু ছাড়াও, দীপক কুমার, যিনি কালী খুলি ধামে ছবি এবং মালার দোকান করেছিলেন, তারও হালুয়া ছিল। তাকেও অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে।
রাতভর অজ্ঞান হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। সকালে তাকে অচেতন অবস্থায় ভর্তি করা হয়।
শিকার হয়ে ওঠে
প্রবীণ কুমার (30), প্রবীণের স্ত্রী নীতু (25), সোনি (35) স্ত্রী সুখ চন্দ, প্রাচী কুমারী (16), শগুন কুমারী (14), আশিস কুমার (11), বাবলু (25) ছেলে গঙ্গারাম এবং দীপক কুমার (40) ) অসুস্থ অনুভব করা.
সবাই বিপদমুক্ত
উপ-জেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ কে কে শর্মা জানান, রবিবার সকালে মোট ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাদেরকে কোন না কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল তাদের সবার অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত এবং সবাই সুস্থ আছে।